পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আজকের সভ্যতার মন জ্ঞানের সাধনায় অভাবনীয় সিদ্ধি লাভ করেচে। শুধু তাই নয়, আরো ভবিষ্যতে সে যে আরো কি আশ্চর্য চরিতার্থতা লাভ করবে আজ আমরা তা কোনোমতে কল্পনাই করতে পারিনে। তা হলেই দেখা যাচ্চে আমাদের এই যে মন, যা একদিকে খুব ছোট খুব দুৰ্ব্বল দেখতে, আর একদিকে তার মধ্যে যে ভূমা আছে হিমালয়ের পৰ্ব্বতের প্রকাণ্ড আয়তনের মধ্যে তা নেই। তেমনি আমাদের আত্মা ছোট দেহ ছোট মন ছোট সব প্রবৃত্তি দিয়ে ঘেরা— অনেক সময়ে তাকে যেন দেখতেই পাওয়া যায় না। কিন্তু তবু তার মধ্যেই সেই ভূমা আছেন। সেই জন্যেই ত একদিকে আমাদের ক্ষুধাতৃষ্ণা আমাদের রাগ বিরাগ যখন দরবার করছে, সেই মুহুৰ্ত্তেই এই প্রবৃত্তির দাস এই বাসনার বন্দী, বিশ্বের সমস্ত সম্পদ পায়ের নীচে ফেলে উঠে দাড়িয়ে প্রার্থনা করেচে, অসত্য থেকে আমাকে সত্যে নিয়ে যাও। যা অসীম একেবারে তাকেই চাই। এত বড় চাওয়ার জোর এতটুকুর মধ্যে আছে কোথায়? সে জোর যদি না থাকৃত তবে এত বড় কথা তার মুখ দিয়ে বেরত কেমন করে এ কথার কোনো মানে সে বুঝত কি করে ? আশ্চর্য ব্যাপার হচ্চে এই যে মানবের আত্মা যা নিয়ে দেখচে শুনচে ছুচ্চে খাওয়া পরা করচে তাকেই চরম সত্য বলতে চাচ্চে না— যাকে চোখে দেখল না, হাতে পেল না তাকেই বলচে সত্য। তার একটি মাত্র কারণ, ছোটর মধ্যেই বড় আছেন। সেই বড়ই ছোটর ভিতর থেকে মানুষের আত্মাকে কেবলি মুক্তির দিকে টেনে নিয়ে যাচ্চেন— তাই মানুষের আশার আর অস্ত নেই। এখন, প্রত্যেক মানুষের কাজ হচ্চে কি ? নিজের কথায় চিন্তায় ব্যবহারে এইটেই যেন প্রকাশ করি যে, আমাদের মধ্যে সেই বড়ই সত্য— তা না করে যদি মানুষের ছোটটার উপরেই ঝোক দিই, যে সব বাসনা তার শিকল, তার গণ্ডী, যাতে তাকে レアミ