পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হয় নি— কিন্তু হঠাৎ যদি তোমার “মাৰ্ত্তণ্ড” নামটাই পছন্দ হয় তাহলে কিন্তু আমি আপত্তি করব। ভানু নামটা যদিচ খুব সুশ্রাব্য নয় তবু ওটা আমি একদা নিজেই গ্রহণ করেছিলুম’— ওর আর একটুখানি সুবিধা আছে— ওটা “রাণুর” সঙ্গে মিলে যায়— এক যে ছিল রাণু তার দাদা ছিল ভানু। আর এক হতে পারে, যদি “কবিদাদা” বল। নামটা ঠিক সঙ্গত হোক বা না হোক ওটা আমার নিজের নামের সঙ্গে মেলে— এক যে ছিল রবি সে গুণের মধ্যে কবি। কিন্তু একটা কথা তোমাকে বলে রাখি। প্রিয় কবিদাদা বললে চলবে না। প্রথম কারণ হচ্চে এই যে, তোমার প্রিয় কবি যে কে তা আমি ঠিক জানি নে— খুব সম্ভব যে লোকটা সেই আশ্চর্য হিন্দী দোহা লিখেছিল সেই হবে— তার সঙ্গে ছ অক্ষরের অনুপ্রাসে আমি যে কোনোদিন পাল্লা দিতে পারব এমন শক্তি বা আশা আমার নেই দ্বিতীয় কারণ হচ্চে এই যে, ইংরেজিতে প্রিয় বলে না এমন মানুষই নেই, সে অমানুষ হলেও তাকে বলে— এমন কি, সে যদি দোহা না লিখতে পারে তবুও। আমার মত হচ্চে এই যে, রাস্তাঘাটের সবাইকেই যদি প্রিয় বলতে হবে এমন নিয়ম থাকে তবে দুই এক জায়গায় সে নিয়মটা বাদ দেওয়া দরকার। অতএব, আমাকে যদি শুধু রবি দাদা বল তাহলে আমি রাগ করব না— এমন কি, যদি মাৰ্ত্তগু নামটাই তোমার পছন্দ হয়, তাহলে “প্রিয় মাৰ্ত্তগু দাদা" লিখো না— তাহলে বরঞ্চ লিখো, মাৰ্ত্তণ্ড দাদা, প্রচণ্ড প্রতাপেযু। যদি কোনোদিন তোমার সঙ্গে রাগারগি করি তাহলে আমাকে ঐ নামে ডাকলেই হবে। আমাদের আশ্রমের আকাশে শারদোৎসব আরম্ভ হয়েছে— শিউলি বন সাড়া দিয়েছে— মালতীলতার পাতায় পাতায় শুভ্র ফুলের অসংখ্য br8