পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্রনাথ ও সজনীকান্ত। পরিচয় “বৃহদারণ্য বনস্পতির মৃত্যু দেখেছ কেউ? অরণ্যভূমি আঁধার করিয়া শতেক বর্ষ ধরি শাখাপ্রশাখায় মেলি সহস্ৰ বাহু মৃত্তিকারস করিয়া শোষণ শিকড়ের পাকে পাকে নিম্নে বিরচি বহুবিস্তৃত স্নেহছায়া আশ্রয়— ভ্রংলিহ বনস্পতির মৃত্যু দেখেছ কেউ?” উদ্ধৃত অংশটি সজনীকান্ত দাসের “মর্ত্য হইতে বিদায়” কবিতা থেকে গৃহীত। রবীন্দ্রনাথের তিরোধানের পর ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪১ সালে সজনীকান্ত রবীন্দ্রনাথের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এই কবিতাটি রচনা করেন। এবং কবিতাটি, ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৪১, বঙ্গীয়-সাহিত্যপরিষদের শোকসভায় পঠিত হয়। বড়োই বিস্ময় জাগে যখন মনে পড়ে ১৩৩৬ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত “শনিবারের চিঠি’র কয়েকটি সংখ্যার কথা, যেখানে সজনীকান্তের ‘শ্রীচরণেষু’, ‘হেঁয়ালি’ ও ‘ভ্ৰান্তি’র মতন কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল রবীন্দ্রনাথ ও সজনীকান্ত প্রসঙ্গ, এত বছর পরেও, আজও বাংলা সাহিত্যে একটি অতি-বিতর্কিত ও আলোচিত সমালোচনার বিষয়। সজনীকান্ত দাস—জন্ম : বর্ধমানস্থ বেতালবন গ্রামে, মাতুলালয়ে ৯ ভাদ্র ১৩০৭ বঙ্গাব্দে (২৫ অগস্ট, ১৯০১)। পিতা হরেন্দ্রলাল দাস ও মাতা তুঙ্গলতা দেবী। ব্যঙ্গসুনিপুণ সমালোচক-সম্পাদক হিসেবে সজনীকান্ত বাংলাসাহিত্যে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিলেন। দাঠাকুরের ভাষায় তিনি ছিলেন ‘নিপাতনে সিদ্ধ’। শৈশব থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তিনি ছিলেন মনেপ্রাণে রবীন্দ্রভক্ত। సి 8