পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেখিলাম– শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। গুরুমন্ত্রের মত সেই নাম জপমন্ত্র হইল। কবিতাটিও মুখস্থ হইয়া গেল।’ (‘আত্মস্মৃতি’, সুবর্ণরেখা সংস্করণ পৃ. ১২-১৩) সজনীকান্ত বলেছেন, তার জীবনের বাণীসাধনার এখানেই সূত্রপাত। 幡 শৈশবে সজনীকান্ত র্তার বড়দাদার কাছ থেকে যোগীন্দ্রনাথ বসুসম্পাদিত একখণ্ড ‘সরল কৃত্তিবাস - উপহার পেয়েছিলেন। বইটির ভূমিকা লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। এই সরল কৃত্তিবাসের মাধ্যমে দ্বিতীয়বার তিনি কবির লেখার সঙ্গে পরিচিত হলেন। এর পরবর্তীকালে সজনীকান্তের হস্তগত হয় ‘কথা ও কাহিনী’, যাকে তিনি অভিহিত রাজ্য জুড়ে ছিল রামায়ণ ও মহাভারত। এ ছাড়া ছিল যোগীন্দ্রনাথ সরকারের সংকলনগুলি এবং রবীন্দ্রনাথের ‘কথা ও কাহিনী’ এবং ‘শিশু’। স্কুলের গণ্ডি পার হয়ে সজনীকান্ত বাঁকুড়া কলেজে ভর্তি হন। সেই সময় রাজনৈতিক কারণে তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হয়েও বলতে সজনীকান্তের ছিল— খাওয়া-দাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে আডডা, কিছুটা মোড়লি এবং সুর করে রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃত্তি করা। পিতা হরেন্দ্রলাল পুত্রের সাহিত্যচর্চাকে একেবারেই প্রশ্রয় দিতে চান নি। অতএব ছাত্রাবস্থায় বই খরিদ করার মতন সংগতি সজনীকান্তের ছিল না। বাধ্য হয়ে সজনীকান্ত এক অভিনব পন্থা আবিষ্কার করেছিলেন। সরকারি কাগজের খাতা বধিয়ে সম্পূর্ণ বই নিজের হাতে নকল

  • সরল কৃত্তিবাস অর্থাৎ কৃত্তিবাস-প্রণীত সপ্তকাণ্ড রামায়ণ’, ১৩১৫ বঙ্গাব্দ।

৯৬