পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্থানান্তরিত হলেন অগিলভি হস্টেলে। সজনীকান্ত অগিলভি হস্টেলে থাকাকালীন শিবদাস রায়ের ব্যবস্থাপনায় ভাদ্র, ১৯২১, বোলপুর ভুবনডাঙার মাঠে ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়, শান্তিনিকেতন আশ্রম দল ও কলিকাতাস্থ অগিলভি হস্টেল দলের মধ্যে। তখন তরুণ সজনীকান্ত গোলরক্ষকের ভূমিকায় ‘অগিলভি হস্টেল দলভুক্ত ছিলেন। খেলার ফলাফল বর্ণনা করে সজনীকান্ত লিখেছেন—“খেলায় দুই গোলে হারিয়া ফিরিলাম বটে, কিন্তু জীবনের খেলায় সেই প্রথম গুরুদর্শনের দিন হইতেই যে-জিত হইল আজিও তাহার ফলভোগ করিতেছি।" (আত্মস্মৃতি’, পৃ. ৪৯) সজনীকান্তের কলকাতায় প্রত্যাগমনের অল্পকালের মধ্যেই রবীন্দ্রনাথ সদলবলে কলকাতায় আসেন— প্রধানত দুটি কারণে— কলিকাতা ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট হলে “সত্যের আহ্বান” পাঠ ও জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে প্রথম ‘বর্ষামঙ্গল উৎসব পালনে। সজনীকান্ত বর্ষামঙ্গলের অপূর্ব স্বপ্নময় পরিবেশে রবীন্দ্রনাথকে দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। অনতিবিলম্বে ৪ সেপ্টেম্বর ১৯২১ (১৯ ভাদ্র ১৩২৮) বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদে রবীন্দ্রনাথের ষষ্টিতম বার্ষিক সংবর্ধনায় যোগ দেবার অবকাশ পেয়েছিলেন সজনীকান্ত। সেই রাত্রেই তিনি রবীন্দ্রনাথকে বন্দনা করে ‘রবীন্দ্রনাথ’ নামক একটি কবিতা রচনা করেন। কবিতাটি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সজনীকান্তের স্বহস্তাক্ষরে হস্টেল ম্যাগাজিনভুক্ত হয়েছিল। কিন্তু এই পারমার্থিক কবিতাটি কবি সমীপে কীভাবে পৌছানো যায় এই নিয়ে সজনীকান্তের দুর্ভাবনা হয়। ওই বছরই ৭ই পৌষের উৎসবে সজনীকান্ত একাই শান্তিনিকেতন যান, উদ্দেশ্য তার অর্ঘ্য কবির নিকট নিবেদন করা। দুর্ভাগ্যবশত তাকে ফিরে আসতে হয় বিফল సెby