পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলেছিলেন ‘লেখা বীজাকারে তার নোট বইতে আছে’... উপযুক্ত লেখক পেলে তিনি মুখে মুখে বলে তার সম্পূর্ণ রূপ দিতে সক্ষম। প্রবাসীর কর্তৃপক্ষ সজনীকান্তকে অনুলেখকের কর্মেনিযুক্ত করেছিলেন। এই নিয়োগ ব্যবস্থার পশ্চাতে কিছু কারণ নিশ্চয় ছিল— প্রথমত সজনীকান্ত ১৯২১ থেকে কয়েকবার শান্তিনিকেতনে গিয়েছিলেন এবং রবীন্দ্রনাথের সান্নিধ্যলাভ করেছিলেন, দ্বিতীয় কারণ, সদ্য প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতীর সভ্য হিসেবে নাম লিখিয়ে বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষ মহলে যথেষ্ট পরিচিত হয়েছিলেন। তৃতীয় কারণ সজনীকান্ত বেশ কয়েকবার রবীন্দ্রনাথের ভাষণের অনুলেখনের কাজটি সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেছিলেন। অনুলেখন দক্ষতার গুণেই সজনীকান্ত কবির কাছ থেকে শুনে শুনে ‘পশ্চিম-যাত্রীর ডায়ারি’ লেখার গৌরব লাভ করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথ প্রশান্ত মহলানবিশের অতিথি হয়ে, কলিকাতাস্থ আলিপুরের আবহাওয়া-দপ্তরের অধিবাসী। সজনীকান্তকেও এই কাজের জন্যে ওখানেই থাকতে হয়েছিল। “যাত্রী গ্রন্থের ১৩৫৩ কার্তিক সংস্করণে ‘পশ্চিম-যাত্রীর ডায়ারি’ ১৬৯ পৃষ্ঠায় সমাপ্ত। সজনীকান্তের অনুলেখনের অংশ প্রায় অর্ধেক পৃ. ৯১-১৬৯। পশ্চিম-যাত্রীর ডায়ারি’ দুভাগে বিভক্ত— পূর্বার্ধের সময়-সীমা— ২৪ অক্টোবর ১৯২৪ থেকে ৭ অক্টোবর ১৯২৪ । উত্তরাধ শুরু হয় তার চারমাস পর, সময়সীমা হল ৭ ফেব্রুয়ারি ১৯২৫ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯২৫ । সম্পূর্ণ উত্তরাধের অংশটুকু সজনীকান্তের অনুলিখন। এই প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে সজনীকান্তের সমস্ত সংকটের মুহুর্তে রবীন্দ্রনাথই তাকে রক্ষা করেছিলেন। এই সম্বন্ধে সজনীকান্ত লিখেছেন —“শনি গ্রহের তিনি মঙ্গল গ্রহ।” (“আত্মস্মৃতি’, পৃ. ১৩১) > ○ミ