পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাপ্তাহিক “শনিবারের চিঠি’র বেশ কয়েকটি সংখ্যায় বিদ্রোহী কবি নজরুলের কবিতাকে ব্যঙ্গ করে কিছু রচনা প্রকাশিত হয়। ‘কল্লোল’ ও ‘কালিকলম’-এর সঙ্গে “শনিবারের চিঠি’র সংঘাতের সূত্রপাত হয় নজরুলকে কেন্দ্র করে। সাপ্তাহিক শনিবারের চিঠি সাতাশ সংখ্যায় (৯ ফাল্গুন ১৩৩১) পঞ্চত্নপ্রাপ্ত হয়। পরবর্তী পর্যায় “শনিবারের চিঠি’ মাসিক পত্রিকারীপে প্রকাশিত হয়। অনিয়মিত কিছু সংখ্যা। প্রকাশের পর ১৩৩২-এর কার্তিক সংখ্যাতেই এই পর্যায় শেষ হয়। ১৩৩৩ বঙ্গাব্দে “শনিবারের চিঠি’র তিনটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়। জ্যৈষ্ঠে জুবিলি সংখ্যা, আষাঢ়ে বিরহ সংখ্যা ও কার্তিকে ‘ভোট সংখ্যা’। সমকালীন সাহিত্যকে কেন্দ্র করে প্রকাশিত হয় ‘বিরহ সংখ্যা’। এই সংখ্যাতে সজনীকান্ত লিখলেন ‘Orion বা কালপুরুষ ও অশোক চট্টোপাধ্যায় লিখেছিলেন একটি নাটক ‘স্বর্গে Sensation ও একটি কবিতা ‘বিরহ-বেদনা-বিশ্লেষণ”। “শনিবারের চিঠিতে পরবর্তীকালে অত্যাধুনিক সাহিত্য নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের যে ঝড় উঠেছিল তার প্রথম কলধ্বনি যেন শোনা যায় ওই তিনটি রচনাতে। “শনিবারের চিঠি’ ‘বিরহ সংখ্যা প্রকাশের পাঁচ মাস পরে, পৌষ মাসে নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত হল প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের পঞ্চম অধিবেশন। সেখানে অমল হোম “অতি-আধুনিক বাংলা কথা-সাহিত্য” শীর্ষক একটি প্রবন্ধ পাঠ করলেন। প্রবন্ধটি মাঘ মাসের ‘ভারতবর্ষ। পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এই প্রবন্ধ পাঠে আমল হোম একেবারে মধুচক্রের মধ্যবিন্দুতে লোষ্ট্র নিক্ষেপ করলেন। ১৩৩৪ বঙ্গাব্দে বাংলা সাহিত্যে যে আধুনিকতার জোয়ার এসেছিল তার পূর্বরঙ্গ রচিত হয় ১৩৩৩ জ্যৈষ্ঠে ‘কল্লোল’-এ, বুদ্ধদেব > ○8