পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এমতাবস্থায় স্বয়ং প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ সজনীকান্তকে দুই দিন বিশ্বভারতী আপিসে ডেকে নিয়ে গিয়ে বলেছিলেন যে সজনীকান্ত কাজটি ভালো করেন নি। সর্বোপরি রবীন্দ্রনাথ অতিমাত্রায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন। সজনীকান্ত প্রসঙ্গটির উল্লেখ করে বলেছেন “আমার সজনীকান্ত গহন মনে কি কি গুঢ় উদ্দেশ্য গোপন ছিল বৈজ্ঞানিক প্রশান্তচন্দ্র তাহা বিশ্লেষণ করিয়া দেখাইতেই আমি চমকাইয়া উঠিলাম, নিঃসংশয়ে বুঝিতে পারলাম আমার | সজনীকান্ত ] অসাবধানে ফেলা জল অনেক নীচ পর্যন্ত গড়াইয়াছে। আমি সমস্ত ব্যাপার জানাইয়া সরাসরি রবীন্দ্রনাথের শরণাপন্ন হওয়াই সমীচীন সাব্যস্ত করিলাম। সোজাসুজি সামনে যাইবার সাহস হইল না, একখানি দীর্ঘ পত্ৰযোগে আমার বক্তব্য নিবেদন করিলাম।” (“আত্মস্মৃতি’, পৃ. ২১৬-১৭) সজনীকান্ত তখন প্রবাসীর কর্মচারী। ১৩ ডিসেম্বর, ১৯২৭, বেলা তিনটে নাগাদ “প্রবাসী' আপিসের পিওন-বুক ভুক্ত করে তিনি জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে একটি সুদীর্ঘ পত্র রবীন্দ্রনাথের নিকট প্রেরণ করেন। কবি তখন রবীন্দ্র-পরিষদের সংবর্ধনা গ্রহণের জন্য প্রেসিডেন্সি কলেজের অভিমুখে যাত্রার আয়োজনে ব্যস্ত। সজনীকান্তের সুদীর্ঘ পত্রটি এইসময় তার হস্তগত হয়। চিঠিটি পড়ে তিনি অতিশয় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। এবং বিন্দুমাত্র অপেক্ষা না করেই তৎক্ষণাৎ ডাকযোগে তার উত্তরটি লিখে পাঠান। সাধু চলিত ভাষার সংমিশ্রণ যা রবীন্দ্রনাথের সামান্য চিঠিপত্রেও বিরল। কিন্তু সেই দিন তিনি এত বেশি ক্ষুব্ধ ও বিচলিত হয়েছিলেন যে এই গুরু-চণ্ডালী দোষ তাকেও স্পর্শ করেছিল। (দ্র, রবীন্দ্রনাথের পত্র ৫) | X > S