পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“শনিবারের চিঠি’, ‘প্রবাসী’ প্রেসেই ছাপা হত। এই সময়ে হঠাৎ ‘প্রবাসী’-সম্পাদক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় সজনীকান্তকে ডেকে পাঠালেন। ২২ আষাঢ়, ১৩৩৬ (৬ জুলাই, ১৯২৯) সজনীকান্ত ‘প্রবাসী’সম্পাদকের গৃহে উপস্থিত হলে চট্টোপাধ্যায় মহাশয় বিনা বাক্যব্যয়ে একটি পত্র সজনীকান্তের হাতে দিলেন– রবীন্দ্রনাথের লেখা। পত্রে রবীন্দ্রনাথ ‘প্রবাসী’-সম্পাদককে জানিয়েছেন— শনিবারের চিঠি ‘প্রবাসী’ প্রেসে ছাপা হলে তিনি আর কোনো ভাবেই ‘প্রবাসী’র সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না। এই নিদারুণ কঠিন পত্রাঘাতে সজনীকান্ত এমনই অভিভূত হলেন যে বিশেষ কিছু না বলেই তিনি সম্পাদক মহাশয়কে বলেছিলেন “বেশ তাহাই হইবে শনিবারের চিঠি” অন্যত্র ছাপিব।’ (‘আত্মস্মৃতি’, পৃ. ২১৩) রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে সজনীকান্ত যে কী ভীষণ আত্মবিস্মৃত ও বিচলিত হয়েছিলেন তারই চিহ্নস্বরূপ শ্রাবণে “শনিবারের চিঠিতে প্রকাশিত হয়েছিল ‘হেঁয়ালি’ কবিতা। পরবর্তী জীবনে সজনীকান্তের স্বীকারোক্তি স্মরণীয়। তিনি বলেছেন “এমন বর্বর কবিতা আমিও খুব বেশী লিখি নাই।” (“আত্মস্মৃতি’, পৃ. ২৯৩) এই ভীষণ আঘাত রবীন্দ্রনাথকে স্পর্শ করল। নটরাজ’-এর সমালোচনার গ্রানি মনে সঞ্চিতইছিল, এই কবিতা প্রকাশের পর তা দ্বিগুণ হল। আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ছিলেন মধ্যবর্তী সেতু। একদিকে রবীন্দ্রনাথের প্রতি ছিল তার অপরিসীম ভক্তি, অপরদিকে শনিগোষ্ঠীকে তিনি অতিমাত্রায় স্নেহ করতেন। এই পরিস্থিতিতে তিনি রবীন্দ্রনাথের কাছে গেলেন “শনিবারের চিঠি’র হয়ে দরবার করতে। ফলস্বরূপ রবীন্দ্রনাথ তার প্রতিও বিরূপ হলেন। ১১ পৌষ ১৩৩৬, রবীন্দ্রনাথ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়কে এই প্রসঙ্গে একটি পত্র লেখেন। ט\ צ כי