পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দার্জিলিঙে থাকাকালীন কবির সঙ্গে সেখানে নজরুল ইসলাম, নাট্যকার মন্মথ রায় ও শিল্পী অখিল নিয়োগী সাক্ষাৎ করেছিলেন। প্রভাত মুখোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে লিখেছেন—“নজরুল মুখপাত্র হইয়া একটা বড় রকমের দল লইয়া রবীন্দ্রনাথের সহিত দেখা করিতে যান ; রবীন্দ্রনাথ নজরুলকে পাইয়া খুবই খুশি, বহুক্ষণ নানা বিষয়ের আলোচনা হয়।” (“রবীন্দ্রজীবনী ৩, পৃ. ৪০৩) এই আলোচনা বিষয়ে কাজী নজরুল ইসলাম একটি প্রবন্ধ রচনা করেন। প্রবন্ধটি ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিনের ‘স্বদেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রবন্ধটির কিয়দংশ উদ্ধৃত হল— করা চলে না, কেমন চমৎকার ফুলঝুরির মতো ফুল সেজে থাকে। ...কবি হাসতে হাসতে বললেন, এই রকম আর একটি জীবনের নাম করা চলে— দেখতে সে বেশ সুশ্রী ; কিন্তু সেও ঠিক ওই কারণে সাহিত্যের আসরে একেবারে একঘরে হয়ে আছে। “আমরা সবাই উৎসুক হয়ে উঠলুম। তিনি মুখ টিপে বললেন, মুরগী।” “শনিবারের চিঠি’র প্রচ্ছদে একটি মুরগীর ছবি থাকত। অতএব সিজনে গাছ’ ও ‘মুরগী প্রসঙ্গ সজনীকান্তকে যে ক্রুদ্ধ ও উত্তেজিত করবে তা অবশ্যম্ভাবী। ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের ভদ্রে “শনিবারের চিঠি’ পুনঃপ্রকাশিত হয়। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ সজনীকান্ত ও শনিগোষ্ঠীর প্রতি নিতান্ত অপ্রসন্ন ছিলেন। ‘প্রবাসী প্রেস থেকে শনিবারের চিঠি’র মুদ্রণকার্য বন্ধ হওয়াতেও তার রাগ পড়ে নি। উপরন্তু তারই স্নেহধন্য পত্রিকা ‘পরিচয়’কে ‘শনিবারের চিঠি’-র দল নবপর্যায় প্রকাশিত হওয়ার কাল থেকে বিরোধিতা করছে। ফলস্বরূপ রবীন্দ্রনাথ আরো ক্রুদ্ধ হয়েছেন। > > ケ