পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিচয়ের পরিশিষ্টে তোমার অভিমত পড়ে প্রকাশক-সঙ্ঘ বিচলিত হয়েছেন। তারা বলেন এতে বাঙালী পাঠক অশান্ত ও অসুস্থ হয়ে পড়বে...।” এতৎসত্ত্বে শুধু পরিশিষ্টই নয়, রবীন্দ্রনাথের সুচিন্তিত ও সুলিখিত ভূমিকাটিও তীব্র বিদুপ-সমালোচনায় আক্রান্ত হয়। এই সব কারণে কিছুদিনের মধ্যেই প্রথম সংস্করণের ভিন্নরূপ সংস্করণ প্রকাশিত হয়। সূচনায় সংযোজিত হয় ‘নিবেদন’। ‘নিবেদন’-এ রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন—“...অনেক কবিতা চোখে পড়েনি। অনেক নির্বাচন যোগ্যতর হোতে পারত। যে সংকলনে রচয়িতারা স্বয়ং তৃপ্ত হননি তাদের নির্দেশ পালন করলে হয়তো তা সন্তোষজনক হবার সম্ভাবনা থাকত। আধুনিক কবিতার ধারা অবিরাম বয়ে চলেছে, সুতরাং তার সংগ্ৰহ ভাবী সংস্করণে পূর্ণতা ও উৎকর্ষ লাভ করবে এই প্রত্যাশা সংকলন কর্তার মনে রইল।” বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবনে বাংলা কাব্য-পরিচয়’-এর যে কাপটি সংরক্ষিত রয়েছে তার উপর একটুকরো কাগজে সুধীরচন্দ্র করের স্বাক্ষরে লিখিত রয়েছে– “প্রথম সংস্করণেই প্রথমত এই বই একরকম ছাপা হয়ে বাজারে বেরিয়েছিল পরে সংশোধন হয়ে আবার নতুন করে বেরয়। এইখানাই সংশোধিত কপি” স্বাঃ সুধীরচন্দ্র কর ২৬-৭-৩৮ | কাননবিহারী মুখোপাধ্যায় লিখেছেন– রবীন্দ্রনাথ দ্বিতীয় খসড়ায় ব্যাপকভাবে আধুনিক কবিদের রচনা যোগ করেন। এই শেষের অংশ নিয়ে বইখানি প্রকাশিত হলে বুদ্ধদেব ও অন্যান্য সমালোচকেরা প্রধানতঃ নিন্দায় মুখর হয়ে ওঠেন। (“বাংলা কাব্য-পরিচয় প্রসঙ্গে” রবীন্দ্রচর্চা, তৃতীয় সংখ্যা ১৯৯৮, পৃ. ৭৬-৮০) > ミ○