পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৪৫ বঙ্গাব্দের আশ্বিনের ‘কবিতাপত্রিকায় বুদ্ধদেব বসুর কাব্য-পরিচয় সম্পর্কে সমালোচনাটি প্রকাশিত হয়। বুদ্ধদেব বসু লিখেছেন—“এই সংকলন গ্রন্থের দায়িত্ব বৃহৎ, তা রবীন্দ্রনাথ না করলে কে আর করবে? গুরুদেবের কাছে আমাদের প্রার্থনা এই যে তিনি নিজে সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে বাংলা কবিতার প্রামাণ্য সংকলন গ্রন্থ রচনা করুন। মন্দকে নির্মমভাবে বিতাড়িত ক’রে ও ভালোকে তেমনি নির্লজ্জভাবে গ্রহণ করে তিনি এমন একটি বই করুন যাতে বহু যুগ ধরে বাঙালী কবি ও পাঠকের বুদ্ধি বিকশিত ও রুচি গঠিত হতে পারে।” (“বাংলা কাব্য-পরিচয়”, কবিতা ত্রৈমাসিক, ১৩৪৫ আশ্বিন, পৃ. ৭৪)

সম্পূর্ণরূপে সংশোধিত নব সংস্করণ কাব্য-পরিচয়ের জন্য রবীন্দ্রনাথকে সাহায্য করতে চারুচন্দ্র ভট্টাচার্যের সম্পাদনায় পঞ্চ সদস্যের একটি সহায়ক পরিষৎ গঠিত হয়েছিল। চারুচন্দ্র ভট্টাচার্য ছাড়া এই পরিষদের অন্য চারজন সদস্য হলেন- সজনীকান্ত দাস, হিরণকুমার সান্যাল, নন্দগোপাল সেনগুপ্ত ও কিশোরীমোহন সাঁতরা। সহায়ক পরিষদের সদস্য পঞ্চকের মধ্যে সজনীকান্তই একমাত্র নবাগত ছিলেন। নির্মমভাবে রবীন্দ্র-বিদূষণের পরেও সজনীকান্তকে কেন রবীন্দ্রনাথ এই দায়িত্ব দিয়েছিলেন– এই প্রশ্ন স্বভাবতঃই প্রত্যেকের মনে সংশয় জাগাবে। এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক শষ ঘোষ লিখেছেন “বই { কাব্য-পরিচয় ] প্রকাশিত হবার অল্প পরেই যে সংকট, তখনই শুরু হয়েছিল সজনীকান্তের আসাযাওয়া” (উর্বশীর হাসি, পৃ. ২৩)

এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো যে সজনীকান্তের সঙ্গে । বিশ্বভারতীর প্রকাশনালয়ের যোগসূত্রের সূচনাকাল ১৯২৪। এবং তখন থেকেই বিভিন্ন কাজে প্রয়োজনে ও অপ্রয়োজনে সজনীকান্ত 5 ১২৪