পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“লোকশিক্ষা গ্রন্থমালা’র দ্বিতীয় বই কি হবে জানিনা। যদি এবার বাংলা গল্পের একটি সংকলন করা হয়, আশাকরি তা খুবই মনোজ্ঞ হবে। বাংলা ভাষার উৎকৃষ্ট উপন্যাসগুলিকে সঙিক্ষপ্ত । সংক্ষিপ্ত ] করে সঙ্কলন করলেও একটি খুব সুন্দর বই হয় যদিও তাতে মূল উপন্যাসগুলির সৌন্দর্য কিছু ক্ষুন্ন হতে পারে। উপস্থিত যদি বাংলা ছোটগল্পের একটি “পরিচয়” প্রকাশ করা হয় তাতে যে সকলের বিশেষ উপকার হবে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।” মূল চিঠির পাশে রবীন্দ্রনাথের “কী বলো তুমি?” এবং প্রথম প্যারার নামের তলায় লাইনগুলির বিশেষ ইঙ্গিত— বিশ্লেষণের অপেক্ষা রাখে না। কাব্য-পরিচয় সংক্রান্ত রবীন্দ্রনাথ ও সজনীকান্তের মধ্যে যে পত্রালাপ হয় তার উল্লেখ ও বিশ্লেষণ বিস্তারিত ভাবেই এই গ্রন্থের পরবর্তী অধ্যায়ে রয়েছে। তবে আবার অধ্যাপক শঙ্খ ঘোষের লেখায় ফিরে আসি— অধ্যাপক ঘোষ লিখেছেন—“এই দ্বিতীয় সংস্করণটি যদি ছাপা হতো শেষ পর্যন্ত, তাহলে স্পষ্টতই সেটা হতো সজনীকান্তের সংকলন, রবীন্দ্রনাথ হতেন শিখণ্ডী। এরই খবর নিশ্চয় ছড়িয়ে পড়েছিল গুজবের চেহারায়, যার নমুনা আমরা ধরতে পারি সমর সেনের স্মৃতিচারণে।” (উর্বশীর হাসি’, পৃ. ২৪) সমর সেনের ‘বাবু বৃত্তান্ত আদ্যোপান্ত পাঠোদ্ধার করেছি। তিনি অবশ্যই লিখেছেন—“অনেকে হয়তো জানেন না যে তিরিশ দশকের শেষাশেষি রবীন্দ্রনাথ বাংলা কবিতার একটি সঙ্কলন বের করেন (জোর গুজব সজনীকান্ত দাসের সহযোগিতায় ও পরামর্শে।’ (‘বাবু বৃত্তান্ত’, পৃ. ২৭) এইবার উক্ত গ্রন্থের ১নং পাদটীকাটি লক্ষণীয়– “১। প্রকৃত পক্ষে উক্ত সংকলনটির সম্পাদনায় সহযোগী ছিলেন শ্রীকাননবিহারী " ما جد لا