পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লিখেছেন, “সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকায় শ্রীযুক্ত সজনীকান্ত দাস লিখিত বাংলা গদ্যের প্রথম প্রবন্ধ থেকে তুলে দেওয়া হোলো।” পরবর্তী পৃষ্ঠায় “ঈশ্বর গুপ্তের আমলে বঙ্কিমের কলমে যে গদ্য দেখা দিয়েছিল’ তারও নমুনা রবীন্দ্রনাথ সংগ্রহ করেছেন “সজনীকান্ত দাসের প্রবন্ধ থেকে”। (‘রবীন্দ্রনাথ ও সজনীকান্ত, পৃ. ১৫৮)। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করে রবীন্দ্রনাথ কিশোরীমোহন সাঁতরাকে ২৮/৮/৩৮ তারিখে শান্তিনিকেতন থেকে একটি চিঠিতে লিখেছেন —“তোমাদের আগমনের প্রতীক্ষায় ছিলুম। সজনীকে আমার একটা বিষয়ে দরকার ছিল— যে বইটি লিখচি তার জন্যে। বঙ্কিম যখন ঈশ্বর গুপ্তের আসরে প্রথম হাত পাকাচ্ছিলেন সেই সময়কার একখণ্ড গদ্য, লাইন আট-দশ পাঠিয়ে দিয়ো। দেরি কোরো না, লেখা আটকে আছে।” সজনীকান্ত ছিলেন একদিকে নবযুগের কবি আবার বিগত যুগের গবেষক। সাহিত্যের অবলুপ্ত ইতিহাসের সত্যের অনুসন্ধান ও কালজয়ী ছিলেন সাহিত্যের উত্তর সাধক। বৈষ্ণব পদাবলীর একখানি প্রাচীন পুথিকে অবলম্বন করে সজনীকান্তের সাহিত্য গবেষণার সূত্রপাত। ‘বঙ্গশ্রী সম্পাদনার সময়ে সজনীকান্ত নিয়মিতভাবে গবেষণাকর্মের দিকে আকৃষ্ট হয়েছিলেন। এ বিষয়ে তার পথপ্রদর্শক ও সহযোগী ছিলেন ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ব্যতিরেকে কোনো কাজেই সজনীকান্তের সম্পূর্ণ হত না। ১৯৩৮-৩৯ সালে সজনীকান্ত পুরাতন সাময়িক পত্রিকা অর্থাৎ জ্ঞানাঙ্কুর, প্রতিবিম্ব, তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা, ভারতী, সাধনা প্রভৃতি থেকে রবীন্দ্রনাথের বাল্য ও কৈশোরের নামী ও বেনামী রচনাগুলির একটি সবিবরণী তালিকা প্রস্তুত করেছিলেন এবং তা পত্ৰযোগে ১২ অক্টোবর ১৯৩৯ রবীন্দ্রনাথের > ミs ১৯ || ৯