পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোনো অগ্রজকে। তিনি বোম্বাইয়ের বিখ্যাত ডাক্তার দাদোবা পাণ্ডুরঙ্গের কন্যা অ্যান। বস্তু দুইটি দেখিয়া রবীন্দ্রনাথ প্রায় আত্মবিস্মৃত হইলেন এবং সেই সন্ধ্যাতেই স্বহস্তে একখানি ছবি, তাহার ব্যবহৃত একটি আলখাল্লা এবং তপতী নাটকে অভিনয়কালে তৎকর্তৃক পরিহিত শিরস্ত্রাণটি আমাকে দান করিয়া ধন্য করেন।” (আত্মস্মৃতি’, পৃ. ৫৩৬) শুধু ‘অভিলাষই নয় সজনীকান্ত রবীন্দ্রনাথের আরেকটি অনামা বাল্যরচনা আবিষ্কার করেছিলেন— ‘প্রকৃতির খেদ’ নামক একটি দীর্ঘ কবিতা। রচনাপঞ্জী আবিষ্কার সম্পর্কে সজনীকান্তের কৃতিত্বের একটি পাকা দলিল, রবীন্দ্রনাথ লিখে দিয়েছিলেন। (দ্র. রবীন্দ্রনাথের পত্র ২৪) এই নষ্টোদ্ধারের ফলে রবীন্দ্রনাথ এমনই খুশি হয়েছিলেন যে সজনীকান্ত অচিরাং ‘রবীন্দ্র-রচনাবলী-র সম্পাদকমণ্ডলীভুক্ত হয়েছিলেন। অক্টোবর থেকে খণ্ডে খণ্ডে যা প্রকাশিত হতে শুরু করেছিল। প্রথম খণ্ডে ‘সন্ধ্যাসঙ্গীতের পূর্বে রচিত যাবতীয় কাব্য এবং বহু প্রবন্ধ চিঠিপত্র ইত্যাদি পরিত্যক্ত হওয়াতে, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা কবির কাছে আবেদন জানান যে তার রচনার ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য তার বাল্য ও কৈশোরের রচনাগুলিও গ্রন্থাবলীভুক্ত হওয়া আবশ্যক। কবি জোর গলায় বলেছিলেন যে তিনি ইতিহাসের ধারা মানেন না। অবশেষে অনেক অনুনয় বিনয়ের পর ‘অচলিত সংগ্ৰহ অ্যাখ্যা দিয়ে ‘রবীন্দ্র-রচনাবলী’র কয়েকটি খণ্ড প্রকাশে অনুমতি দিলেন। ‘আচলিত সংগ্রহ প্রকাশে সম্পূর্ণ দায়িত্ব ছিল সজনীকান্ত ও ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর। ১৯৪০ অক্টোবরে ‘আচলিত সংগ্রহে প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয়। ‘আচলিত সংগ্রহ দুটি খণ্ডে প্রকাশিত হয়। > ○ >