পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবিসকাশে উপস্থিত হয়েছিলেন।‘আত্মস্মৃতিতে সজনীকান্ত লিখেছেন — ‘৪ঠা জানুয়ারী ১৯৪১ একবার বোলপুর গিয়া কবিকে অনেকটা সুস্থই দেখিয়া আসিয়ছিলাম। এই প্রসঙ্গে সুধাকান্ত রায়চৌধুরী তার “রবীন্দ্র দৈনিকী”তে ৭/১/৪১ তারিখে রচিত, লিখেছেন– “আজ সকালে “শনিবারের চিঠি” সম্পাদক শ্ৰীযুক্ত সজনীকান্ত দাস এবং শ্ৰীযুক্ত সুবলচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় আসিয়া কবিকে প্রণাম করিতেই রবীন্দ্রনাথ সজনীবাবুকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন “তুমি এলে এ্যাকেবারে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত। আমি ভেবেছিলুম ধীরে সুস্থে আসবে। যাক, আশাকরি তোমাদের সজনীবাবু বল্লেন “কিছু কষ্ট হয়নি, বেশ আরামেই ছিলেম। চিঠিতে যেই টের পেলুম আপনি আমার মৌন সম্বন্ধে খোজ নিয়েছেন, আমনি চলে এলুম কিছুমাত্র বিলম্ব না করে, সেইজন্যই বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতন কতটা আসা হোলো”। এর পর রবীন্দ্রনাথ ও সজনীকান্তের মধ্যে সাহিত্য বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রসঙ্গক্রমে ঐ আলোচনাতেই রবীন্দ্রনাথ সজনীকান্তকে প্রশ্ন করেছিলেন— আচ্ছা এই প্রসঙ্গে আমার মনে হয় এর ঠিক মর্মকথাটি হয়তো অনেকেই ধরতে পারেনি।” সজনীকান্ত উত্তরে বলেছিলেন– “তিনসঙ্গী গ্রন্থে আপনার এই ল্যাবরেটরি গল্পটি পুনরায় পড়েছি। আপনার এ গল্পটি সম্বন্ধে নিন্দে প্রশংসা সমভাবেই হচ্ছে। যারা ভাল করে আপনার সাহিত্য পড়েননি সেই শ্রেণীর সেকেলে দল আপনার এ গল্পের ভয়ানক নিন্দে করেছেন। আর যারা এটা নিয়ে আহাদে আটখানা হচ্ছেন অর্থাৎ তথাকথিত আধুনিকদের দল তারাও এর বহিরঙ্গের চটকেই মুগ্ধ—শুধু মুগ্ধ তা নয়, তাদের এই মুগ্ধবোধকে নিজেদের সাহিত্যের অপসাধনায় ব্যবহার > ○○