পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করতে উৎসাহিত হয়ে উঠবেন। আমাদের মনে হয় আপনি সোহিনীর মধ্যে যেটি রক্তমাংসের উপরের মানুষ তাকেই দিয়েছেন শ্রেষ্ঠত্ব, আর সেই শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিই তার স্বামীর ছিল পৌরুষময় শ্রদ্ধা আর বিশ্বাস। সোহিনীর মেয়ে সে পেয়েছিল মায়ের দেহ, যে দেহ বাসনায় জর্জরিত কাছে অধ্যাপক করেছিলেন মাথা নীচু, অধ্যাপকের বিশ্বাস ও মর্যাদাও রক্ষা করেছিল সোহিনী তার সেই অন্তনিহিত শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েই।” “লাবরেটরি” গল্পের এই মৰ্ম্মকথা খুব কম লোকই ধরতে পেরেছে, তোমরা ঠিক ধরেছ বলে রবীন্দ্রনাথ হাসলেন”। প্রসঙ্গত 'সাপ্তাহিক দেশ’ অষ্টম বর্ষ ১১শ সংখ্যা, ১৩৪৭, ১৩ই মাঘ, সংখ্যায় পৃ. ৪৬৪, পুস্তক পরিচয় শিরোনামায় রবীন্দ্রনাথের ‘তিনসঙ্গী গল্পের বইটির সমালোচনা প্রকাশিত হয়। সমালোচক সজনীকান্ত দাস। ১৩৪৮ বৈশাখে ‘গল্পসল্প পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়। “গল্পসল্প” প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ এক খণ্ড বই সজনীকান্তকে পাঠিয়েছিলেন তার মতামত জানতে চেয়ে। প্রচণ্ড অসুস্থতার মধ্যেও সজনীকান্ত বইটি পড়েছিলেন ও কবিকে তার মতামত জানিয়েছিলেন। উত্তরে রবীন্দ্রনাথ ২৮/৫/৪১ তারিখে লিখলেন— ‘সজনী, গল্পসল্প তোমার ভাল লেগেছে শুনে আমি খুশী হলুম। ওরকম খুচরো গল্প সাধারণত কারো কানে পৌছয় না, কিছু পাশ কাটিয়ে চলে যায়। তুমি যে তার ঠিক মর্মটি ধরতে পেরেছ এতে তোমাকে সাহিত্যের সমজদার বলে চেনা গেল।” শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ক্রমশ শীর্ণ ও দুর্বল হয়ে পড়েছেন। এই সংবাদে সজনীকান্ত শান্তিনিকেতনে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠলেন। এই সময় মারাত্মক ডায়াবেটিসে সজনীকান্ত নিজের অবস্থাও › ©ፃ