পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খুবই সঙ্গিন। একা যাওয়ার ক্ষমতা নেই, ডাক্তারের নিষেধ অমান্য করে, দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে, এবং গৃহিণীকে বলে গেলেন চন্দননগরে যাচ্ছি, ৩ জুন ১৯৪১ সকালের ট্রেনে রওনা হয়ে সকালে শান্তিনিকেতনে পৌঁছে রবীন্দ্রনাথকে প্রণাম করলেন। উত্তরকালে সজনীকান্ত লিখেছেন– “কবি উচ্ছসিত হইয়া উঠিলেন, কি করিয়া আমাদের আদর-আপ্যায়ন করিবে তাহা লইয়া সচিব ও অনুচরদের বিপন্ন করিয়া তুলিলেন। বৈকালের ট্রেনেই ফিরিয়া আসিলাম।” (‘আত্মস্মৃতি’, পৃ. ৫৫৭) পরের দিন ৪ জুন ১৯৪১ রবীন্দ্রনাথ সজনীকান্তকে লিখলেন —“সজনী, তুমি ক্ষণকালের জন্যে এসে আমাদের খুশী করে দিয়ে গেছ। তোমার যে রকম ভঙ্গুর অবস্থা তাতে আমি এ প্রত্যাশা করিনি। প্রতীক্ষা করে রইলুম সুস্থ অবস্থায় আবার সম্মিলন হোতে পারবে ...” সোয়া আট-মাস কাল শান্তিনিকেতনে কবি থেকেছিলেন। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতির জন্যে তাকে ৯ শ্রাবণ ১৩৪৮ কলকাতার জোড়াসাঁকোর বাড়িতে নিয়ে আসা হল। পরের দিন ১০ শ্রাবণ, ১৩৪৮, ২৬ জুন ১৯৪১, দুপুরে সুধাকান্ত রায়চৌধুরী দূরভাষে সজনীকান্তকে বললেন– “যদি সজ্ঞানে কবিকে দেখতে চান এক্ষুণি আসুন।” সজনীকান্ত তখনই গেলেন জোড়াসাঁকোয়। পরবর্তীকালে সজনীকান্ত লিখেছেন– “সুধাকান্তদার সহিত আমি কবির কাছে উপস্থিত হইতেই সেবারতা যাহারা ছিলেন তাহারা উঠিয়া গেলেন। আমি প্রণাম করিতেই বসিতে বলিলেন। নিজে হইতেই অবনীন্দ্রনাথের প্রসঙ্গ তুলিয়া বলিলেন : ওর জন্মদিন উপলক্ষ্যে (৭ই অগস্ট) তোমরা ঘটা করে উৎসব ক’রো। দেশের রুচির হাওয়া ও > ○bア