পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্র-ধূত প্রসঙ্গ সজনীকান্ত দাসকে লিখিত রবীন্দ্রনাথের পত্র পত্র-১ ১ “গোরা'-র ষষ্ঠ অধ্যায়ের একস্থানে ছিল,— “ক্ষণকালের জন্য রমাপতি চাহিয়া দেখিল, গোরার সুদীর্ঘ দেহ একটা দীর্ঘতর ছায়া ফেলিয়া মধ্যাহ্নের খর রৌদ্রে জনশূন্য তপ্ত বালুকার মধ্য দিয়া একাকী ফিরিয়া চলিয়াছে।” “মধ্যাহের খর রৌদ্রে’ ছায়া “দীর্ঘতর’ হতে পারে না। একটি করেছিলেন। সজনীকান্তের এই পত্ৰ বিফলে যায় নি। “গোরা’ উপন্যাসের পরবর্তী সংস্করণে (১৩৩৪, চতুর্থ বিশ্বভারতী সংস্করণ, ২৬ অধ্যায়, পৃ. ২৩৯), রবীন্দ্রনাথ “দীর্ঘতর’র স্থানে “খবৰ” করেছিলেন। (সংশোধিত এই বাক্যটি অবশ্য সজনীকান্তের উক্তিমতো “ষষ্ঠ অধ্যায়ে”য় নয়, এটি পাওয়া যাবে বর্তমান ২৬ সংখ্যক অধ্যায়ে। — দ্র, রবীন্দ্র-রচনাবলী ষোড়শ খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ সরকার, পৃ. ৮৭৮)। এই প্রসঙ্গে সজনীকান্তের উক্তি বিশেষ উল্লেখ্য— ‘এই দীর্ঘতরকে খর্ব করা— ইহাই বাংলা-সাহিত্যে আমার সর্ব প্রথম কীর্তি, আধুনিক ভাষায় “অবদান’ও বলিতে পারি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমার জীবনে দীর্ঘতরকে খর্ব করার ইহাই শেষ নয়।’ (‘আত্মস্মৃতি’, পৃ. ৮২) ২ ৪ সেপ্টেম্বর ১৯২১ (১৯ ভাদ্র, ১ ৩২৮) বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদে রবীন্দ্রনাথের ষষ্টিতম বার্ষিক সংবর্ধনা সভায় যোগদানের অবকাশ পেয়েছিলেন সজনীকান্ত। সেই রাত্রেই রবীন্দ্রনাথকে বন্দনা করে সজনীকান্ত রচনা করেছিলেন ‘রবীন্দ্রনাথ’ শীর্ষক একটি কবিতা। যার প্রথম ছত্ৰ—“ওগো আঁধারের রবি”। (আত্মস্মৃতি’, श्रृं. १४) S 8 S