পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুশ্রী বলি এমন ভুল করো না। কেন করিনে তার সাহিত্যিক কারণ আছে, নৈতিক কারণ এস্থলে গ্রাহ্য না হতেও পারে। আলোচনা করতে হ’লে সাহিত্য ও আর্টের মূলতত্ত্ব ২ নিয়ে পড়তে হবে এখন মনটা ক্লান্ত উদ্রান্ত, পাপগ্রহের বক্ৰদূষ্টির প্রভাব প্রবল—তাই এখন বাগবাত্যার ধুলো দিগদিগন্তে ছড়াবার সখ একটুও নেই। সুসময় যদি আসে তখন আমার যা বলবার বলব। ইতি ২৫ ফালুন, ১৩৩৩ শুভকাঙক্ষী শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর \S) ১ 8 নভেম্বর ১৯২৭ শান্তিনিকেতন কল্যাণীয়েযু 疊 তোমার বিদ্রুপের প্রখর অগ্নিবাণে বড় বড় মহামহোপাধ্যায়ের পণ্ড পাণ্ডিত্যের বর্মচ্ছেদন যখন করো তখন তার মধ্যে একটা মহাকাব্যিক মহিমা দেখতে পাই— তাতে খুশি হই– কিন্তু তোমাদের “শনিবারের চিঠি’র সমরাঙ্গণে আহতদের মধ্যে কোনো নারীকে ধরাশায়িনী’ দেখলে আমার মন অত্যন্ত কুষ্ঠিত না হয়ে থাকতে পারে না— তারা অপরাধিনী হ’লেও। নারীদের প্রতি পুরুষস্বভাবের অন্তগূঢ় করুণাই তার একমাত্র কারণ নয়— আরো একটা কারণ আছে। তোমাদের হাতে মার খেয়ে অর্থনীতির অধ্যাপকের যে লজ্জা সেটা সাহিত্যিক লজ্জা, —কিন্তু মেয়েদের লজ্জা তার উপরে আরো বেশি, সেটা সামাজিক। ૨