পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রার্থনা করেছিলেন সজনীকান্ত। ৫/৯/১৯৩৮ তারিখে সজনীকান্ত প্রাথিত লেখাটিকে স্মরণ করে একটি স্মারক পত্র কবিকে প্রেরণ করেছিলেন। এই চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ নিজের বিস্মৃতির কথা উল্লেখ করেছেন। (দ্র, সজনীকান্তের পত্র ৩) ২ তৎকালীন মেদিনীপুর জেলা অধিকর্তা বিনয়রঞ্জন সেন, ছিলেন বিদ্যাসাগর স্মৃতি সমিতির প্রধান উদ্যোক্তা। রবীন্দ্রনাথ তার কাছেই উল্লেখিত প্রশস্তি কবিতা পাঠানোর কথা জানিয়েছেন। কবিতাটি স্মৃতিমন্দির প্রবেশ উৎসবের (৩ অগ্রহায়ণ ১৩৪৬) আমন্ত্রণপত্রে রবীন্দ্রনাথের হস্তাক্ষরে মুদ্রিত হয়। বিনয়রঞ্জন সেনকে প্রেরিত স্বস্তিবচন— ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর অখ্যাত জড়ত্বভারে অভিভূত। কী পুণ্য নিমেষে তব শুভ আভু্যদয়ে বিকীরিল প্রদীপ্ত প্রতিভা, প্রথম আশার রশ্মি নিয়ে এল প্রত্যুষের বিভা, বঙ্গভারতীর ভালে পরালো প্রথম জয়টিকা। রুদ্ধভাষা-আঁধারের খুলিলে নিবিড় যবনিকা। হে বিদ্যাসাগর, পূর্বদিগন্তের বনে-উপবনে নব উদ্বোধনগাথা উচ্ছসিল বিস্মিত গগনে। যে বাণী আনিলে বহি নিষ্কলুষ তাহা শুভ্ররুচি, সকরুণ মাহাজ্যের পুণ্য গঙ্গাস্নানে তাহা শুচি। ভাষার প্রাঙ্গণে তব আমি কবি তোমারি অতিথি ; ভারতীর পূজাতরে চয়ন করেছি আমি গীতি সেই তরুতল হতে যা তোমার প্রসাদ সিঞ্চনে মরুর পাষাণ ভেদি? প্রকাশ পেয়েছে মহাক্ষণে * ।

  • গ্রন্থে : শুভক্ষণে। অনুষ্ঠানে সজনীকান্ত কবিতাটি পাঠ করেন। (দ্র, ‘পল্লী-শ্ৰী, (শ্যামলকৃষ্ণ দত্ত-সম্পাদিত, মেদিনীপুর) ১ম বর্ষ, ৪র্থ সংখ্যা, ভাদ্র ১৩৪৫, পৃ ৬)

> 8br