পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২ বুদ্ধদেব বসু (১৯০৮-১৯৭৪)। বাংলা আধুনিক সাহিত্যের অন্যতম কাণ্ডারী। আধুনিক যুগের কবি, কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক। *প্রগতি’ ও ‘কবিতা’ ত্রৈমাসিকের সম্পাদক। রবীন্দ্রনাথ-সম্পাদিত ‘বাংলা কাব্য-পরিচয়’ প্রথমবার প্রকাশিত হয় ১৩ জুন ১৯৩৮। (দ্র: “রবীন্দ্রজীবনী’ ৪, পৃ. ১৩৪-৩৫) ‘বাংলা কাব্য-পরিচয়’-এর দ্বিতীয় খসড়ায়, রবীন্দ্রনাথ ব্যাপকভাবে আধুনিক কবিদের রচনা সংযোজন করেছিলেন। এই শেষের পরিবর্তিত অংশ নিয়ে “কাব্য-পরিচয় পুনর্বার প্রকাশিত হলে, “কবিতা ত্রৈমাসিকের সম্পাদক বুদ্ধদেব বসু, ১৩৪৫ আশ্বিন সংখ্যার ‘কবিতা’ পত্রিকাতে সংকলনটির বিশেষভাবে সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন। (দ্র, ‘বাংলা কাব্য-পরিচয় প্রসঙ্গে’– রবীন্দ্রচর্চা, ৩য় সংখ্যা ১৯৯৮) র্তার মতে—“ ‘বাংলা কাব্য-পরিচয়ে'র উদ্দেশ্য অনির্দিষ্ট, নির্বাচনের ভিত্তি অনুপস্থিত ; এমন কি গদ্যছন্দ বর্জন সম্বন্ধে একটিমাত্র উল্লিখিত নীতিরও ব্যতিক্রম পাওয়া যায়। বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে না যে রবীন্দ্রনাথই এই বইয়ের সম্পাদক, হয়তো শারীরিক অসুস্থতার জন্যে তার কেরানিদের উপর তিনি বড়ো বেশি নির্ভর করেছিলেন।’ (দ্র, ‘বাংলা কাব্য-পরিচয়”— ‘কবিতা ১৩৪৫ আশ্বিন, সংখ্যা—৭ পৃ. ৫৫-৭৫)। ৩ সমর সেন (১৯১৬-১৯৮৭)। প্রখ্যাত আধুনিক কবি। মূলত গদ্য কবিতার রচয়িতা। পিতা অরুণচন্দ্র সেন, শান্তিনিকেতনের প্রথম যুগের ছাত্র। ১৩৪৫ বঙ্গাব্দে ‘বাংলা কাব্য-পরিচয়’ প্রকাশকালে দেখা যায়, রবীন্দ্রনাথ ‘সমর-সেন’-এর রচিত কবিতা সংকলনভূক্ত করেন নি। ফলস্বরূপ রবীন্দ্রনাথকে বিরূপ সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়। কোনোকোনো সমালোচক কবি সম্পাদিত সংকলনের বিদ্রুপও করেছিলেন। কিন্তু এই বিদ্রুপ ছিল ভ্রান্তিমূলক। কারণ রবীন্দ্রনাথ “কাব্যপরিচয়’-এর ভূমিকায় স্পষ্ট উল্লেখ করেছিলেন যে গদ্য কবিতা এই সংকলনে সম্পূর্ণ বর্জন করা হবে।’ (“দ্র: ‘বাংলা কাব্য-পরিচয় প্রসঙ্গে’– রবীন্দ্রচর্চা, ৩য় マ不*Ul > s> ケ)| S @ S