পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেন প্রায় সেপ্টিমেন্টাল গোছের ব্যথা লাগে। আরো দুঃখ এই যে এ সব কথা প্রকাশ্যে লেখার পথ নেই– যেহেতু অন্যকে লক্ষ্য করে বাণ ফেললেও সামনে দাড়িয়ে স্বয়ং আপনি— যার কাছে আমাদের ঋণ এত বেশি যে একটু ব্যথা দিতে মন চায় না। ইতি প্রণত দিলীপ।” (দ্র, ‘রবীন্দ্রনাথ সম্পাদিত বাংলা কাব্য-পরিচয় দেশ সাহিত্যসংখ্যা ১৩৮৯, পৃ. ৩২) ৫ সুধীন্দ্রনাথ দত্ত ১৯০১-১৯৬০। বিশিষ্ট আধুনিক কবি। ‘পরিচয়” পত্রিকার সম্পাদক। পিতা হীরেন্দ্রনাথ দত্তের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের বিশেষ পরিচয় ছিল। সেই সূত্রে রবীন্দ্রনাথের স্নেহ ও সন্নিধ্য লাভ করেছিলেন সুধীন্দ্রনাথ। সুধীন্দ্রনাথ দত্তের ‘তৰী’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত দুটি কবিতা ‘শ্রাবণ বন্যা’ ও ‘নবীন লেখনী’– এই দুটি কবিতাকে রবীন্দ্রনাথ নবচেষ্টার পরিচয় হিসেবে কাব্য-পরিচয় সংকলনে স্থান দিয়েছিলেন। কিন্তু সুধীন্দ্রনাথের মতে তার রচিত শ্রেষ্ঠ কবিতাকে তিনি বর্জন করেছেন। তিনি এই মর্মে ১ জুন ১৯৩৮ বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগকে তার অভিযোগ একটি পত্ৰযোগে ব্যক্ত করেন। চিঠিটি হল— আপনার পত্ৰমারফৎ জেনে গর্ববোধ করছি যে আমার দুটো কবিতা রবীন্দ্রনাথ-সম্পাদিত কাব্যসঙ্কলনে স্থান পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। সে-দুটোর মধ্যে ‘শ্রাবণ বন্যা’ (যার প্রথম লাইন : সঙ্কীর্ণ দিগন্তচক্র ; অবিলুপ্ত নিকট গগনে) নামক কবিতাটির পুনর্মুদ্রণে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু সেটার আরম্ভ : অধুনা আনীত নব অলিখিত, সেটা একেবারেই অচল। কারণ আমার লেখার অন্যত্র তার চেয়ে ভালো রচনা তো আছেই, যে বই থেকে ওটা নেওয়া, তাতেও ওটাই নিকৃষ্টতম। সুতরাং ওই কবিতাটি সঙ্কলন থেকে বাদ দিলে অনুগৃহীত হবো। ইতি ১ জুন ১৯৩৮ । ংবদ শ্রীসুধীন্দ্রনাথ দত্ত > Q ○