পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্ভবত এই চিঠির সংবাদ রবীন্দ্রনাথের গোচরে আসে। এবং কালিম্পঙ থেকে ১০ জুন ১৯৩৮ রবীন্দ্রনাথ সুধীন্দ্রনাথকে পত্ৰযোগে লেখেন :– “ ১০ জুন ১৯৩৮ * * \G Gouripur Lodge alimpong Phone Kal-10 কল্যাণীয়েযু শুনলুম বাংলা কাব্যপরিচয়ে তোমার কবিতা ছাপানো ব্যাপারে তোমার মন উত্তাক্ত হয়েছে। বোধহয় অদ্ভুত শয্যাশরিকদের সন্নিধ্য তোমার ভালো লাগচেনা, বোধ হয় বাছাই কাজও পছন্দমাফিক হয় নি।... ভাবী সংস্করণে ছাড়া সংশোধনের উপায় নেই তাই এবারকার মতো তোমাদের পরিচয়ে একটা কবিতার দ্বারা ক্ষতের উপর প্রলেপ দেবার চেষ্টা করা গেল। ইতি ১০/৬/৬৮ তোমাদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর” দ্র, চিঠিপত্র, ষোড়শ খণ্ড, পৃ. ৭৩-৭৪ উত্তরে সুধীন্দ্রনাথ ১১ জুন ১৯৩৮ তারিখে রবীন্দ্রনাথকে একটি পত্ৰযোগে তার অভিযোগ পুনরায় জানান। তার কিয়দংশ হল— “বাংলা কাব্যপরিচয়’-এর সংশোধন আর সম্ভব নয় জেনে সত্যই মৰ্ম্মাহত হলুম। কিন্তু এ দুঃখবোধের জন্যে আমার শয্যা-শরিকেরা দায়ী নন।. ‘তৰী’ বইখানায় এই রকম খারাপ কবিতা একাধিক আছে। কিন্তু তার মধ্যে সব চেয়ে নিকৃষ্ট নিশ্চয় ‘নবীন লেখনী’। তাই সেটার পুনর্মুদ্রণে আমার ঘোরতর আপত্তি।” তিনি আরো লিখলেন– “আসলে এই সঙ্কলনের সঙ্গে আপনার নাম জড়িত না থাকলে সঙ্কলনকারের দায়িত্বহীনতা উপেক্ষা করা হয়তো শক্ত হতো না। কিন্তু ছাপার হরফে আপনি যার সম্পাদক, এমন বই অনাগত বাঙালী পাঠকেরও শ্রদ্ধা পাবে। তা না পেলেও এ-বই যখন S @ 8