পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিভিল, ক্রিমিনাল দুই আদালতেই তাদের দণ্ড। শাস্তির পরিমাণে এই যে অসাম্য এতে আমাকে বাজে। তার পরে ভেবে দেখো, বৈদিক মস্ত্রে বলেচে “ছায়েবানুগতা”, ওরা যদি দোষ করে থাকে তবে সেটা পুরুষের অনুবতী হয়ে। এ স্থলে স্থূল বস্তুটাকে আঘাত ক’রে যদি পেড়ে ফেলতে পারো তা হলে ছায়ার টিকি দেখা যাবে না। অনেক সময় স্থূল বস্তুর চেয়ে ছায়াকে দীর্ঘতর দেখতে হয়— মেয়েদের অপরাধ তেমনি পরিমাণে বেশি বড়ো ব’লে মনে হয়, কিন্তু তবুও সেটা ছায়া। সহধৰ্ম্মিণীর সহধৰ্ম্মিতার জন্যে দোষ দিয়ে কি হবে, আগে আগে যে দুঃসহধৰ্ম্মটিা চলে, চেপে ধরো তাকে। তোমাদের শনির সম্বন্ধে রবির এই বক্তব্যটা চিন্তা করে দেখো। ইতি ২৮শে কার্তিক ১৩৩৪ শুভাকাঙক্ষী শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 8 ১৯ নভেম্বর ১৯২৭ [ শান্তিনিকেতন ] কল্যাণীয়েযু 尊 দোহাই তোমাদের, “শনিবারের চিঠি’তে আমাকে টেনো না।’ নিজে যদি সাহিত্যিক না হতুম তাহলে তোমাদের নিমন্ত্রণ রক্ষায় রাজি হতুম— কেন না আমার পক্ষে এটা ক্যানিবলিজম দাঁড়ায়। ‘প্রবাসী’তে এবার যেটা লিখেচিৎ সেটাতেও হয়তো অনেকের গায়ে বাজবে— কারণ গায়ের শিরগুলো অনেকেরই টনটনে হয়ে রয়েচে। যৌবনের \S)