পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নরসিংহ মল্লদেব বাহাদুরের নিকট দরবার করেছিলেন। কিন্তু ঠিক সেই সময়েই ঝাড়গ্রাম রাজকে ঝাড়গ্রামে বীরসিংহ ও মেদিনীপুরে বিদ্যাসাগর স্মৃতিরক্ষা ব্যাপারে অতিরিক্ত দোহন করা হয়েছিল। তাছাড়া তিনি ‘বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষৎ’কে ‘বঙ্কিম শতবার্ষিকী সংস্করণ’ প্রকাশার্থ সদ্য সদ্য দশ হাজার টাকা দান করেছিলেন। এই সব কারণে, সেই সময় ঝাড়গ্রামরাজের আনুগত্য পাওয়া সম্ভব হয়নি বিশ্বভারতীর পক্ষে। ২ অমিয় চক্রবর্তী : ১৯০১-১৯৮৬। দেশে ও বিদেশের ইংরেজি সাহিত্যে ও তুলনামূলক ধর্মশাস্ত্রের অধ্যাপক। তিনি রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য সচিব রূপে ছিলেন ১৯২৬-৩০ সাল পর্যন্ত। ১৯৩০-এ রবীন্দ্রনাথের যুরোপ যাত্রাকালে ও ১৯৩২-এ পারস্য-ভ্রমণের সময়, তিনি কবির ভ্রমণসঙ্গী হয়েছিলেন। বিশ্বভারতীর এই আর্থিক সংকটকালে (১৯৪০), সজনীকান্ত ঝাড়গ্রাম-রাজের আনুগত্য লাভে সফল না হলেও দ্বিতীয় বিষয়— দরবার করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন বিভাগীয় প্রধান হরেন্দ্রকুমার মুখোপাধ্যায়ের নিকট। যদিও তিনি নানা কারণে অমিয় চক্রবর্তীর ওপর বিশেষ পক্ষপাতী ছিলেন না তথাপি রবীন্দ্রনাথের দোহাই দিয়ে তার সম্মতি আদায় করতে সক্ষম হয়েছিলেন সজনীকান্ত। এই প্রসঙ্গে অমিয় চক্রবর্তীর দরখাস্তটি যেন ৩১ জানুয়ারি ১৯৪০ তারিখের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছয় এই অনুরোধ জানিয়ে তিনি রবীন্দ্রনাথকে ১৮/১/৪ ০ তারিখে একটি চিঠি লেখেন। (দ্র, সজনীকান্তের পত্র- ১৬) ৩ “তদাহং নাশংসে বিজয়ায় সঞ্জয়” –কুরুপাণ্ডব যুদ্ধের কারণে বিপর্যন্ত অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রকে যুদ্ধের পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা জানবার জন্য দিব্যদৃষ্টিপ্রাপ্ত সঞ্জয়ের উপর নির্ভর করতে হয়েছিল। শেষপর্যন্ত ধৃতরাষ্ট্র জয়ের কোনো আশা না থাকায় সঞ্জয়কে এই কথা বলেছিলেন। বিশ্বভারতীর এই সংকটকালে রবীন্দ্রনাথ এতই বিপর্যন্ত ও বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন, কোনো দিক থেকেই তিনি কোনোরকম আশার আলো দেখতে পাচ্ছিলেন না। সেইজন্যই এই উক্তি করেছিলেন। S Q &