পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৪৬) .. তিন দিন বাঁকুড়ায় থাকিয়া বেঙ্গল-নাগপুর রেলপথে কলিকাতা হইয়া কবি শান্তিনিকেতনে ফিরিলেন।’ (দ্র, রবীন্দ্রজীবনী-৪, পৃ. ২১৯-২২০) পত্র-৩৫ ১ এই বছরে (১৯৪০), বিশ্বভারতীর আর্থিক অবস্থা খুবই সঙ্গিন। এই সংকটকালে, অবস্থার সামাল দেবার জন্যে রবীন্দ্রনাথ নানা দিকে সাহায্যের জন্যে অনুরোধ করেছেন। তন্মধ্যে সংগীত ভবনের ভগ্নপ্রায় অবস্থা কবিকে আরও বিচলিত ও উদবিগ্ন করেছে। ২ ঝাড়গ্রাম রাজ কুমারনরসিংহ মল্লদেব বাহাদুর, বাংলা দেশের বহু হিতকর কাজে ও বঙ্গ-সাহিত্য-ক্ষেত্রে, তার দানের হাত সুপ্রসারিত করেছিলেন। বিশ্বভারতীর এই সংকট মুহুর্তে, তাই কবির মন বারংবার তার সংস্রব লাভের জন্য ব্যাকুল হয়েছে। ৩ পূর্বে উল্লিখিত (পত্র ৩২) 'অবচেতনের অবদান চিত্র বিষয়ে কবিতা বিষয়ে আশ্বাস। অপিচ পরবর্তী পত্র ৩৬ দ্রষ্টব্য। ?回-○○ ১ 'অবচেতনার অবদান’ শীর্ষক কৌতুক চিত্রের ওপর রবীন্দ্রনাথ একটি ছড়া রচনা করে সজনীকান্তকে দেবেন বলে প্রতিশ্রুত ছিলেন। যদিও তা ছিল শর্তসাপেক্ষ। (দ্র, রবীন্দ্রনাথের পত্র-৩০) শান্তিনিকেতনের অসহ্য গরম থেকে নিষ্কৃতি পেতে রবীন্দ্রনাথ ২০ এপ্রিল ১৯৪০ কলকাতা থেকে কালিম্পঙ যাত্রা করেন। কিন্তু রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও প্রতিমা দেবীর কালিম্পঙে পৌছতে নির্ধারিত সময়ের কিছু বিলম্ব হওয়ায়, রবীন্দ্রনাথ কবি অমিয় চক্রবর্তীর সঙ্গে মৈত্ৰেয়ী দেবীর আতিথ্যে মংপুতে এসেছিলেন। এই প্রসঙ্গে মৈত্রেয়ী দেবী লিখেছেন—“ ১৯৪০ এর ২১শে এপ্রিল কবি চতুর্থবার মংপু পৌঁছলেন।” (দ্র, মংপুতে রবীন্দ্রনাথ’, পৃ. ১৪৫) মংপুতে এই যাত্রায় রবীন্দ্রনাথ সতেরো দিন ছিলেন। এবং ৭ মে ১৯৪০ কালিম্পঙের ‘গৌরীপুর ভবন এ এসেছিলেন। (দ্র, রবীন্দ্রজীবনী8, পৃ. ২৩১-৩২) ` ዓ by