পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘আত্মস্মৃতি’ এবং ‘রবীন্দ্রনাথ ও সজনীকান্ত এই দুটি গ্রন্থেই রবীন্দ্রনাথের লেখা এই চিঠির উল্লেখিত আনুমানিক তারিখ ২০/৬/৪০ রয়েছে। কিন্তু দুটি চিঠির বিষয়বস্তুকে বিশ্লেষণ করলে রবীন্দ্রনাথের পত্রটির আনুমানিক তারিখ হয় ২৯ জুন ১৯৪০। এছাড়াও এই প্রসঙ্গে আরও একটি সংগত কারণ হচ্ছে রবীন্দ্রনাথ চিঠিটি লেখেন কালিম্পঙ থেকে এইবারে কবি ৩০ জুন ১৯৪০ কলকাতায় ফিরে এসেছিলেন। অতএব চিঠিটি ২৯ জুন তারিখে লিখিত হয়েছে এই আমাদের অনুমান। পত্র- ৪ ০ ১ সজনীকান্তের বিশিষ্ট বন্ধু ‘বীরেন মিত্ৰ বায়োকেমিক চিকিৎসাশাস্ত্রের ওপর ইংরেজিতে একটি সুবৃহৎ গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। এই গ্রন্থ সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকে পত্ৰযোগে একটি প্রশংসাপত্র সংগ্রহের দাবি জানিয়েছিলেন সজনীকান্ত। ২ সুধাকান্ত রায়চৌধুরী। ৩ রবীন্দ্রনাথের চিকিৎসাধীনে থেকে সজনীকান্ত বায়োকেমিক চিকিৎসায় অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত হয়েছিলেন। রেমেডিজ গ্রন্থটি তিনি কিনেছিলেন। (দ্র, রবীন্দ্রনাথের চিঠি সংখ্যা-২৯) তদুপরি আরও দুই শত টাকা ব্যয়ে, বায়োকেমিক শাস্ত্র আয়ত্ত করতে অন্যান্য গ্রন্থ সংগ্রহ করেন সজনীকান্ত। পারিবারিক ক্ষেত্রে এই বিদ্যা প্রয়োগে বিশেষ সুফল পেয়েছিলেন তিনি। দৃষ্টান্তস্বরূপ তার জ্যেষ্ঠা কন্যা উমারানীর সন্নিপাতিক জ্বরের চিকিৎসা তিনি নিজেই বায়োকেমিক মতানুসারে করেছিলেন। চিঠিতে সেই সুখস্মৃতিকেই স্মরণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। পত্র- ৪ ১ ১ সেপ্টেম্বর ১৯৪০, সজনীকান্তের দুটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। প্রথমটি হাসির কাব্য গ্রন্থ ‘কেড়স ও স্যান্ডাল ও অপরটি হাসির গল্পের > br>