পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুধারানী দাসকে লিখিত রবীন্দ্রনাথের পত্র পত্র-১ ১ সুধারানীর চিঠির প্রেক্ষাপটে সজনীকান্তের উক্তিটি বিশেষ উল্লেখ্য —বৈশাখ, ১৩৪১, “দীর্ঘ সাত বৎসর বিরতির পর প্রেক্ষাগৃহে প্রথম ঘণ্টা পড়িল”। (আত্মস্মৃতি’, পৃ. ৪২৬) বস্তুত ১৩৩৯ বঙ্গাব্দের জ্যৈষ্ঠের শেষার্ধে হেমন্তবালা দেবী সজনীকান্তকে পত্রদূত করে রবীন্দ্রনাথের কাছে পাঠিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ভক্তকে গুরুর সন্নিকটে উপস্থাপন করা। ইতিমধ্যে, ১৯৩৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে রামমোহন-তিরোভাবের শতবার্ষিক উপলক্ষে বর্ষকালব্যাপী রামমোহন স্মরণোৎসবের সূত্রপাত হয়েছিল। 'শনিবারের চিঠি’ ও ‘বঙ্গশ্রী থেকে রামমোহন স্মরণে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু, “অপরাধ হইয়াছিল? সম্পূর্ণ অপক্ষপাতিত্বের অছিলায় কোনও কোনও ক্ষেত্রে রামমোহন দূষণ হইয়ছিল”। (আত্মস্মৃতি’, পৃ. ৪২৪)। ফলস্বরূপ রবীন্দ্রনাথ সমোড়ক “শনিবারের চিঠি’ ও ‘বঙ্গশ্রী’ “রিফিউজড়” লিখে ফেরত পাঠালেন। এই হইয়া গেলেন।’ (‘আত্মস্মৃতি’, পৃ. ৪২৫)। ১৩৪০, পূজাবকাশের প্রাককালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রনাথপ্রদত্ত ‘গদ্য-ছন্দ প্রবন্ধ-বক্তৃতাটি সজনীকান্ত ১৩৪১ বৈশাখের ‘বঙ্গশ্রী’তে প্রকাশ করতে বিশেষ উদ্যোগী হয়েছিলেন। এক্ষেত্রে বিশ্বভারতী-কর্তৃপক্ষের একটি শর্ত ছিল ; প্রবন্ধ প্রকাশের পূর্বে রবীন্দ্রনাথের অনুমোদন চাই। যথাসময়ে অনুমতি প্রার্থনা করে সজনীকান্ত কবির কাছে চিঠি লিখেছিলেন। কিন্তু বৈশাখের তিন তারিখেও অনুমোদন পত্র না পৌছনোয় গুদামজাত মুদ্রিত ‘বঙ্গশ্রী’ নিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন সজনীকান্ত। অবশেষে রবীন্দ্রনাথের অনুমোদন পত্র এল ৪ বৈশাখ > ○8 > | > br8