পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘শ্ৰীমধুকরকুমার কাঞ্জিলাল’ ছদ্মনামে ‘বিরহ-বেদনা-বিশ্লেষণ' শীর্ষক একটি কবিতা। সজনীকান্ত ও অশোক চট্টোপাধ্যায়ের উক্ত তিনটি রচনাই বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে। এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক জগদীশ ভট্টাচার্য লিখেছেন —“শনিবারের চিঠিতে পরবর্তীকালে ‘অত্যাধুনিক সাহিত্য নিয়ে যে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের বান ডেকেছিল এই রচনাত্রয়ে তারই প্রথম কলধ্বনি শুনতে পাওয়া যাবে।” (দ্র: “রবীন্দ্রনাথ ও সজনীকান্ত’, পৃ. ৩৮-৪১) পত্র-২ ১ দ্র, রবীন্দ্রনাথের লিখিত ৫-সংখ্যক পত্রের সূত্র-১ ২ দ্র, রবীন্দ্রনাথের লিখিত ৫-সংখ্যক পত্রের সূত্র-২ ৩ প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ (১৮৯৩- ১৯৭২)। পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক। প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপনা করেছিলেন বেশ-কিছুদিন। আবহাওয়াতত্ত্বের উপর তার গবেষণা বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে। সংখ্যাতত্ত্বের গবেষণায় তার খ্যাতি বিশ্বব্যাপী। ১৯২১-৩১ এই দশবছর তিনি রবীন্দ্রনাথের কর্মসচিব ছিলেন। ১৩৩৪ ভাদ্র ও আশ্বিনের ‘সাপ্তাহিক আত্মশক্তি’তে অরসিক প্রকাশিত হলে, তৎকালীন সমাজে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া সুদূর প্রসারিত হয়। ‘আত্মস্মৃতিতে সজনীকান্ত লিখেছেন–“অতি আধুনিক সাহিত্যিকদের বিরুদ্ধে “শনিবারের চিঠি’র আন্দোলন তরুণদের সমর্থক রবীন্দ্র তুলিয়ছিল। প্রেসিডেন্সি কলেজের তদানীন্তন দুই অধ্যাপক-অপূর্বকুমার চন্দ ও প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ এই দলে ছিলেন। “শনিবারের চিঠি’র অপরাধে রবীন্দ্রপৃষ্ঠপোষিত সদ্য-প্রকাশিত ‘বিচিত্রা’র প্রতি পুরাতন ‘প্রবাসীতে ঈর্ষাদুষ্ট প্রমাণ করিবার চেষ্টাও গোপনে গোপনে চলিয়াছিল, চেষ্টা করিলেন।’ (‘আত্মস্মৃতি’, প, ২১৬) ১ ৯০