পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করেছিলুম”—কিন্তু "ভয় হোলো পাছে বাংলা আধুনিকরা মনে করে আমি তাদেরই জয়ধ্বনি করছি।” এর কিছুকাল পরেই রবীন্দ্রনাথ, “নবযুগের কাব্য’ প্রবন্ধে অমিয় চক্রবর্তীর কবিতা বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন। (দ্র, ‘অমিয় চক্রবর্তী’, (یا o ۔ d, 9 (tہ ৬ ‘খসড়া’ প্রকাশের একবছর পরে ১৯৩৯-এর ডিসেম্বরে, ১৩৪৬ বঙ্গাব্দের পৌষে অমিয় চক্রবর্তীর একমুঠো’ কাব্য-গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। ‘একমুঠো প্রকাশের পর রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন অমিয় চক্রবর্তীর আধুনিকতা ও নবীনতার পূর্ণ প্রতিষ্ঠা হল। (দ্র, ‘কবির চিঠি কবিকে’, পৃ. ১৭-১৯ ; ‘অমিয় চক্রবর্তী, পৃ. ৩৫-৩৬) পত্র- ১ ৯ চিঠির নীচে লাল কালিতে "file’ শব্দটি লেখা আছে। ১ বাঁকুড়া থেকে ফিরে এসে রবীন্দ্রনাথ ৮/৩/৪০ তারিখে সজনীকান্তকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। সজনীকান্ত কবির এই চিঠিটি পড়ে খুবই মর্মাহত হয়েছিলেন। (দ্র, রবীন্দ্রনাথের পত্র-৩৫) ২ দেবেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য (১৮৯০-১৯৫১)। প্রায় ২১ বছর ঝাড়গ্রামের রাজার ম্যানেজার ছিলেন। প্রধানত তারই চেষ্টায় ও রাজার অর্থানুকূল্যে মেদিনীপুরে বিদ্যাসাগর হল, বীরসিংহ গ্রামে বিদ্যাসাগর স্মৃতি-মন্দির ও বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষদে ‘ঝাড়গ্রাম রাজগ্রন্থমালা তহবিল’ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বহু গ্রন্থ প্রকাশেরও ব্যবস্থা হয়। রায়বাহাদুর দেবেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য, ঝাড়গ্রাম-রাজ ‘কুমার নরসিংহ মল্লদেব’এর কাছ থেকে কিছু আর্থিক আনুকূল্যের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বিশ্বভারতীর জন্যে এই প্রাপ্তিযোগে কিছু বিলম্বের সম্ভাবনাও তিনি সজনীকান্তকে জানিয়েছিলেন। সজনীকান্ত কবিকে চিঠিতে সেই সংবাদ জানিয়েছিলেন। ৩ রবীন্দ্রনাথ ৮/৩/৪০ তারিখের চিঠিতে জানতে চেয়েছিলেন— সজনীকান্ত কবে নাগাদ শান্তিনিকেতনে আসবেন। যদিও সেই সময় সভাপতিত্বের দায় ও বক্তৃতা দিতে ব্যস্ত থাকবেন তবু তিনি কবির কাছে ミの>