পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংকলয়িতার নিবেদন পূর্বপ্রসঙ্গ। রবীন্দ্রনাথ, হেমন্তবালা দেবী ও সজনীকান্ত ১৩৩০ বঙ্গাব্দের ৪ আষাঢ় (১৯ জুন ১৯২৩) বীরভূমের রাইপুর গ্রাম নিবাসী ও কলকাতা প্রবাসী পশুপতিনাথ চৌধুরীর জ্যেষ্ঠা কন্যা সুধারানীর সঙ্গে সজনীকান্তের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল। সজনীকান্তের এক পুত্র ও পাঁচ কন্যা। * আমার (সংকলয়িতার) জন্মের বছর কয়েক আগেই মাতামহ সজনীকান্ত দাসের মৃত্যু হয়। দাদুকে দেখার সৌভাগ্য আমার হয় নি। বয়স যখন অল্পই একদিন বেলগাছিয়ার বাড়িতে (৫৭-এ, ইন্দ্রবিশ্বাস রোড) আমার দিদিমা সুধারানী দাসের কাছে দাদুর হাতের লেখা একটি কবিতা চোখে পড়ে। কবিতাটির নাম মনে আছে— নিজীব কুমার ও নিজীব কুমারীর বিয়ে। দিদাকে কবিতা সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করাতে দিদা বলেছিলেন—“তখন বোনটি আমরা থাকতুম ২৮সি, রাজেন্দ্রলাল স্ট্রীটের একটি ভাড়া বাড়িতে। তার পাশেই থাকতেন বাসন্তীরা। বাসন্তীর তখনও বিয়ে হয় নি। বাসন্তী আমার খুব বন্ধু ছিল। আমরা দুই বন্ধুতে পুতুল খেলতুম। আমার পুতুলের সঙ্গে বাসন্তীর পুতুলের বিয়ে হয়েছিল। বিশাল ধুমধাম। মসিমা (হেমন্তবালা করেছিলেন। রাজবাড়ির ব্যাপার—আমাদের তো তখন ভাই অত পয়সা ছিল না। তাই সেকালের রীতি অনুযায়ী তোমার দাদু আমাকে এই কবিতাটি লিখে দিয়েছিলেন।” এর পরবর্তী ইতিহাস এই কবিতাটি হেমন্তবালা দেবীর দৃষ্টিগোচর হয়। এবং ক্রমশ তিনি সজনীকান্তকে নানান ধরনের সাহিত্য নিয়ে প্রশ্ন করতেন। আমার দাদু সেগুলির উত্তর দিতেন। এই ক্ষেত্রে ૨૨ જ