পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পারস্য-ভ্রমণ-শেষে রবীন্দ্রনাথ তখন দেশে ফিরেছেন, ৩ জুন ১৯৩২। ফিরে এসে কবি কিছুদিন খড়দহে গঙ্গার গা ঘেঁষে একটি প্রাসাদে বাস করছিলেন। এই সময় “শনিবারের চিঠি’র জয়ন্তী সংখ্যা প্রকাশে এহেন গৰ্হিত অপরাধ করেও তাদের ক্রোধ প্রশমিত হয় নি তখনও আরও বেশ-কিছু চিঠি’র সংখ্যাতে চলছে রবীন্দ্র-বিদূষণ পর্ব। এমতাবস্থায় হেমন্তবালা দেবীর কাছ থেকে হুকুম এল সজনীকান্তকে কবির কাছে তার একটি চিঠি পৌছে দিতে হবে। এই ঘটনার বিশদ বিবরণ দিয়েছেন সজনীকান্ত তার আত্মস্মৃতিতে। (দ্র, ‘আত্মস্মৃতি’, পৃ. ৩৭৩-৭৫)। দূত হিসেবে প্রেরিত হয়ে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা সাক্ষাতের পর সজনীকান্তের মধ্যে এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন লক্ষণীয়। তিনি লিখেছেন– “শরতের মেঘের মতো হালকা মনে প্রসন্ন চিত্তে ঘরে ফিরিলাম। এই সাক্ষাতের মধ্যে অপূর্ব বা অসাধারণ কিছুই ছিল না, অথচ আমি দূরবিসপিত নূতন পথের সন্ধান পাইলাম।” (‘আত্মস্মৃতি’, পৃ. ৩৭৫) হেমন্তবালা দেবীর সঙ্গে প্রথম পরিচয়ের সূত্রপাতের মূলে আমার বড়ো মাসিমণি— শ্ৰীমতী উমারাণী দাস। দুই অসম পরিবারের মধ্যে মেলবন্ধনের সেতু রচনা করেছিলেন শিশু উমা। সেই সময় আমার মামু রঞ্জনকুমার দাস, আড়াই বছরের বালক। বলা বাহুল্য মামু ছিলেন দাদু-দিদিমার নয়নের মণি। কথা প্রসঙ্গে শুনেছিলাম একসময়ে বারীন ঘোষ দাদুর নিমন্ত্রিত অতিথি হয়ে তার বাড়িতে এসেছিলেন। আদরের বাহুল্য দেখে বারীন ঘোষ মামুকে ‘প্রিন্স অব ওয়েলস’ আখ্যা দিয়েছিলেন। মামুর দেখাশুনোর দায়িত্বে ছিলেন সরস্বতী নামা এক বৃদ্ধা এক-চক্ষু দাসী ও প্রবাসী প্রেসের হেড কম্পোজিটর মানিকচন্দ্র ミ○○