পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ংসা পত্র S. 8 ২১ নভেম্বর ১৯৩৯ শ্রীমান সজনীকান্ত দাস আমার বাল্য ও কৈশোরের বেনামী রচনাগুলি আবিষ্কার করে আমাকে বিস্মিত করেছেন। পুরাতন তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় আমার সর্বপ্রথম মুদ্রিত রচনা “অভিলাষ” তাহার অভিনব আবিষ্কার। ইহার অস্তিত্ব সম্বন্ধে আমার সম্পূর্ণ বিস্মৃতি ঘটেছিল। জ্যোতিদাদার প্রথম চারটি নাটকের অধিকাংশ কবিতা এবং গান যে আমার রচনা তা সজনীকান্তের তীক্ষদৃষ্টি এড়ায়নি। হিন্দুমেলায় দিল্লি দরবার সম্বন্ধে আমার পঠিত কবিতাটি ‘স্বপ্নময়ী’তে আত্মগোপন করেছিল সেটাও সজনীকান্তের ইঙ্গিতে ধরা পড়েছে। সজনীকান্ত প্রদত্ত নিম্নলিখিত তালিকাকৃত রচনাগুলি নিঃসংশয়রূপে আমার। কিন্তু পরবর্তী তালিকার রচনাগুলি সম্পর্কে নিঃসংশয় হতে পারিনি। আমি সে দিকশূন্য ভট্টাচার্য ও অপ্রকটচন্দ্র ভাস্কর ইত্যাদি ছদ্মনামে এককালে অনেক লেখাই লিখেছি তা জেনেও বেশ কৌতুক বোধ করচি। এখানে বলা আবশ্যক শেষোক্ত নামটি কোনো লেখক অন্য কোনো কোনো রচনায় আত্মসাৎ করেচেন বলে আমার সন্দেহ হচ্চে। শান্তিনিকেতন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর さや