পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭ মার্চ ১৯২৭ ১/১ যুরোপীয়ান এসাইলাম লেন 軸 কলিকাতা ২৩ শে ফাল্গুন, ১৩৩৩ শ্রীচরণকমলেষু, প্রণামনিবেদনমিদং সম্প্রতি কিছুকাল যাবৎ বাঙলাদেশে এক ধরণের লেখা চলছে, আপনি লক্ষ্য ক’রে থাকবেন। প্রধানত ‘কল্লোল’ ও ‘কালি-কলম’ নামক দুটি কাগজেই এগুলি স্থান পায়। অন্যান্য পত্রিকাতেও এ ধরণের লেখা ক্রমশঃ সংক্রমিত হচ্ছে। এই লেখা দুই আকারে প্রকাশ পায় —কবিতা ও গল্প। কবিতা ও গদ্যের যে প্রচলিত রীতি আমরা এযাবৎকাল দেখে আসছিলাম লেখাগুলি সেই রীতি অনুসরণ ক’রে চলে না। কবিতা, Stanza, অক্ষর, মাত্রা অথবা মিলের কোনো বাঁধন মানে না ; গল্পের form সম্পূর্ণ আধুনিক। লেখার বাইরেকার চেহারা যেমন বাধা বাধনহারা ভেতরের ভাবও তেমনি উচ্ছঙ্খল। যৌনতত্ত্ব, সমাজতত্ত্ব অথবা এই ধরণের কিছু নিয়েই এগুলি লিখিত ETāl jisti GT-R ŠRI Continental Literature stā (TEŘ পাড়েন। যারা এগুলি পড়ে বাহবা দেন তারা সাধারণ প্রচলিত সাহিত্যকে রুচিবাগীশদের সাহিত্য বলে দূরে সরিয়ে রাখেন। পৃথিবীতে আমরা স্ত্রী-পুরুষের যে-সকল পারিবারিক সম্পর্ককে সম্মান ক’রে থাকি এই সব লেখাতে সেই সব সম্পর্কবিরুদ্ধ সম্বন্ধ স্থাপন ক’রে আমাদের ধারণাকে কুসংস্কার শ্রেণীভুক্ত বলে প্রচার করবার ○○