পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গত পরশু ও কাল শ্রীযুক্ত প্রশাস্তবাবুর সহিত দুই একটি কথাবাৰ্ত্তার ফলে আমি বুঝিয়াছি যে অবিলম্বে আপনার নিকট আমার নিজের দিকটা খোলসা করিয়া বলা আবশ্যক, নতুবা, আমার সহিত অন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে জড়াইয়া অকারণে তাহাদের ক্ষতি করার চেষ্টা চলিতে পারে। সমালোচনাটি শ্রীঅরসিক রায় এই বেনামে প্রকাশিত হইয়াছিল। অরসিক রায় একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির গুপ্তনাম। সে আমার পরিচিত ও চাকরী সম্পর্কে ‘আত্মশক্তি’র সহিত তাহার পরোক্ষ যোগ আছে। “নটরাজের এই সমালোচনাটি উক্ত অরসিক রায়ের লেখা নহে। উহা আমার লেখা। আমার লিখিত প্রবন্ধের দুই একস্থল আমার অজ্ঞাতসারে বর্জন করিয়া ও স্থল বিশেষ পরিবর্তন করিয়া অনেক মুদ্রাকর প্রমাদ সমেত উহা অরসিক রায়ের নামে বাহির হইয়াছিল। অরসিক রায়ের নামের আড়ালে আমি সেকারণেই আত্মগোপন করিয়া থাকি, ভাবিয়ছিলাম, ওই নামটিই ওই প্রবন্ধ সম্পর্কে অন্য আলোচনার অবকাশ দিবে না। কিন্তু সম্প্রতি দেখিতেছি, বাংলাদেশে লেখার দ্বারা লেখার বিচার হয় না ; লেখকের কুলজী কোষ্ঠীরও প্রয়োজন হয়। এ দেশের লোকেরা সত্য-অনিসন্ধিৎসু । অনিসন্ধিৎস ], গোপনতম সত্যটি তাহারা টানিয়া বাহির করিবেই। কারণ, কোনো বিশেষ বস্তুর উপর স্বকপোল-কল্পিত বিশেষ উদ্দেশ্যটি আরোপ করিতে না পারিলে তাহাদের সত্যনিষ্ঠার পরাকাষ্ঠা দেখানো হয় না। এ ক্ষেত্রেও তাহাই হইয়াছে। আমার এই লেখাটির ভিতর আমার বা অপর কাহারো একটা উদ্দেশ্য খুঁজিয়া বাহির করিবার জন্য মস্তিষ্কবান ব্যক্তিরা যে সচেষ্ট হইয়াছেন তাহার পরিচয় পাইয়াছি। অতএব লেখাটির ইতিহাস আগাগোড়া আপনাকে শোনানো আবশ্যক। আমি শুনিয়াছি, আপনি এই লেখাটির সম্পর্কে এক বা একাধিক পত্র পাইয়াছেন। তাহার একটিতে নাকি লেখা আছে, আমি ۹ و \