পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আপনার হইয়াছিল তখন সৰ্ব্বাগ্রে আমার নিকট হইতেই তাহা জানা আপনার উচিত ছিল। আমি বোধহয় আপনার নিকট মিথ্যা বলিতাম না। বিশ্বভারতীর সম্পর্কিত কোনও একজন আমাকে প্রশ্ন করিয়াছেন যে, নটরাজের সমালোচনা বাহির হইবার পরও আমি যখন দুই দুইবার আপনার সহিত দেখা করিতে যাই, তখন আপনার নিকট উক্ত প্রবন্ধ সম্বন্ধে কোনও কথা বলি নাই কেন? কিন্তু আমার সহজ বুদ্ধি বলিতেছে যে, বলিবার কোনো কারণ ঘটে নাই। উপযাচক হইয়াও কথা বলিতে গেলে আপনিই আমাকে ‘অতিরসিক সম্প্রদায়ভুক্ত মনে করিতেন। ওই প্রবন্ধ লিখিয়া আপনার প্রতি অশ্রদ্ধা জ্ঞাপন করিবার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা যদি আমার থাকিত তাহা হইলে আমি আপনার সহিত সাক্ষাৎ করিতে যাইতাম না। আমি নিজের মধ্যে সেই শক্তি অনুভব করি যাহা আমাকে সংসারে মাথা নীচু করিয়া অপরাধীর মত চলিতে দেয় না। আমি হয়ত ভুল করিতে পারি কিন্তু নীচতা যে দেখাই নাই এটুকু দয়া করিয়া বিশ্বাস করিবেন। যে রবীন্দ্রনাথ বালক বয়সে বেনামীতে মেঘনাদবধের সমালোচনা দ্বিজেন্দ্রনাথ, চন্দ্রনাথ প্রভৃতির সহিত সত্যের খাতিরে দ্বন্দ্ব করিয়াছেন, লোকে স্বাধীন অভিমত প্রকাশ করে দেখিয়া গোপন অনুসন্ধান ও হীন চরবৃত্তির প্রশ্রয় দেন তাহা হইলে দেশের নিতান্ত দুর্ভাগ্য বলিতে হইবে। দৈব দুৰ্ব্বিপাকে প্রবাসী ও শনিবারের চিঠির সহিত আমি যুক্ত বলিয়াই কি আমার নিজস্ব মতামত সমস্তই প্রবাসী ও শনিবারের চিঠির মতামত? আমি একেলা প্রবাসী অথবা শনিবারের চিঠি নহি। সৌভাগ্যের বিষয় নব পর্যায় শনিবারের চিঠি প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত \లసి