পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিছুদিন পরে আমার পরিচিত উক্ত অরসিক রায় প্রবন্ধটি শুনিয়া বলে যে যদি আমি প্রবন্ধটি তাহার নামে (অর্থাৎ অরসিক রায় এই নামে) ছাপিতে অনুমতি দিই তাহা হইলে সে আত্মশক্তি’তে তাহা ছাপাইতে পারে। আমি তাহাতে আপত্তি করিবার কোনো কারণ দেখি না। ফলে ৯ই ভাদ্র হইতে আরম্ভ করিয়া ৫ সংখ্যা “আত্মশক্তি’তে প্রবন্ধটি বাহির হয়। নব পৰ্যায় শনিবারের চিঠি প্রথম সংখ্যা ১৩ ভাদ্র বাহির হয়। ইহাই হইল প্রবন্ধ প্রকাশের ইতিহাস। ইহার মধ্যে কাহারো কোনো প্ররোচনা বা আমার নিজেরও কোনো “মতলব ছিল না। আমি এরূপই জানিতাম। এখন দেখিতেছি প্ররোচনা একের নহে, অনেকের ছিল এবং আমারও বহু মতলব নিশ্চয়ই ছিল, নতুবা আমি প্রবাসী অফিসে চাকুরী করিয়া ওরূপ প্রবন্ধ লিখিব কেন? শনিবারের চিঠির সহিতই বা যুক্ত থাকিব কেন? আমার এই ২৬ বৎসরের জীবনে মানুষকে ভাল করিয়া চিনিবার অবকাশ পাই নাই, সুতরাং ভুল করা আমার পক্ষে স্বাভাবিক। আপনি বহু বর্ষ যাবৎ এই পৃথিবীর হালচাল দেখিয়া আসিতেছেন, আপনি ভুল করিবেন না এ বিশ্বাস আমি করিতে পারি। আপনার অনেক ভক্ত আছে। কেহ কাছে থাকিতে পায়, কেহ পায় না। দূরে যাহারা থাকে তাহদেরও ভক্তি বিন্দুমাত্র কম নহে। অন্ততঃ, আমার সাহিত্যিক জীবনের প্রারম্ভে রবীন্দ্রনাথ এবং এতকালের খোরাকও তিনিই জোগাইতেছেন। আমার ভক্তি ও শ্রদ্ধা সম্বন্ধে যদি বিন্দুমাত্র সন্দেহ করেন তাহা হইলেই আমার চরমতম শাস্তি ঘটিবে। আমার সকল অপরাধ মার্জনা করিয়া অন্ততঃ সেই শাস্তিটুকু হইতে আমাকে রেহাই দিবেন। আমার প্রণাম জানিবেন। ইতি প্রণতঃ শ্ৰীসজনীকান্ত দাস 이 소