পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীণায় সে আপন সুর বেঁধে দিয়েছে। তার স্পর্শ থেকে বঞ্চিত হলে আমার ভোজে খাদ্য থাকে, এমন কি খাদ্য বেশিও থাকে কিন্তু তার স্বাদ থাকে না। এই কারণে যতবার আমি দেশের বাইরে গেছি এখানকার রূপে রসে ভরা আকাশ আমাকে ডাক দিয়ে পাঠায়। তাছাড়া ছেলেবেলা থেকে সমস্ত মন দিয়ে আমি ভালোবেসেছি বাঙালীর মেয়েকে, তার সকরুণ মাধুর্য্যে আমার মন অভিষিক্ত হয়েছে। যখন দূরে যাই এখানকার শু্যামন্ত্রীর স্মৃতিপটে তারি ছবিটি ফুটে ওঠে আমার মনে, মেঠো মূলতানের সুরে দূর থেকে বাজতে থাকে তারি কণ্ঠের গান বাংলার ভাষায়— মনে রইল সই মনের বেদনা, প্রবাসে যখন যায়গো সে তারে বলি বলি আর বলা হোলো না। তখন কেবলি মনে পড়তে থাকে তমালতালীবনরাজিনীল। তটভূমি, সমুদ্রের পূর্বপারে। আর মনে পড়ে মেঘচ্ছায়াঘন বর্ষার দিন আর ধারামুখরিত বর্ষার রাত্রি ; বুকের মধ্যে বাজ তে থাকে, মেঘৈর্মেছরমস্বরংবনভূবঃ শু্যামাস্তমালদ্রুমৈঃ । অন্ত কোনদেশে পাব মাঘের শেষে অামের বোলের গন্ধের সঙ্গে মেশানো ক্লান্ত কোকিলের করুণ ডাক । আরো কত বলব কত সূক্ষ্ম কত বিরাট, কত গভীর, দেশে কালে সুদূরপ্রসারিত তার কত প্রতিবেদন, যার ভাষা নেই, যার ইঙ্গিত যুখীমালতীর সৌরভের মতো আৰ্দ্ৰবাতাসে সৰ্ব্বব্যাপী। অথচ এদেশের মানুষ পদে পদে আমাকে কঠিন আঘাতে জর্জর So a