পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ول اولا ২৯ এপ্রিল ১৯৩৪ \હેં কল্যাণীয়েষ্ণু এ মেলে তোমার আর একখানি চিঠি পেয়ে খুসি হলুম। বোধ হয় শুনে থাকবে আমরা দলবল নিয়ে সিংহলে যাচ্চি । অর্থসংগ্রহের এই পন্থা অত্যন্ত ক্লান্তিকর, সব সময়ে সন্তোষজনকও হয় না। কিন্তু অনুশীলনার দিক থেকে এর মূল্য আছে। সিংহলবাসীরা উৎসুক হয়ে আছে তারা আর্টের এমন একটা আদর্শ পাবে, যেটা তাদের জঙ্গলের ভিতর দিয়ে নতুন পথ করে দেবে। বোম্বাইয়ে আমরা কিছু অর্থ পেয়েছিলুম কিন্তু উপকার করেছি তার চেয়ে বেশি। এই কাজটাকে বোধহয় বিশ্বভারতীর একটা প্রধান কাজের মধ্যে গণ্য করা যেতে পারে। আজকালকার দিনে সব চেয়ে তারস্বর পলিটিক্সের ; তার কাছে যখন আমাদের গান নিয়ে নাচ নিয়ে দাড়াই তখন সভাসুদ্ধ লোক অবজ্ঞা করে আমাদের তাড়িয়ে যে দেয় না এইটেতে বুঝতে পারি বধিরের কানেও মন্ত্র প্রবেশ করে। আজকাল বাংলাদেশ থেকে নাচ গান ও ছবির ঢেউ সমস্ত ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়চে এর প্রথম প্ৰবৰ্ত্তনা এইখান থেকেই, সে কথা স্বীকার করতে হবে Y হৈমন্তী নাচে বিশেষ একটা কৃতিত্ব দেখাতে পেরেচে। ওর মধ্যে সত্যিকার আর্টিস্ট, আছে সে জেগে উঠেচে– এই নিয়ে সে খুব আনন্দ পেয়েছে। আমরা চেষ্টা করব ওকে এই পথে যথাসম্ভব এগিয়ে দিতে — ) రి )