পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুমি ওখানে আমার বাণীকে প্রকাশ করবার ভার নিতে চাও শুনে খুসি হলুম। আজকাল আমার নীরব হবার সময় এসেছে। এখন আমার গোধূলির কাল। এখন আমার দুরকালের স্মৃতিপটে নানা রং ভেসে উঠচে, কিন্তু গানের সময় শেষ হয়ে এলো । যে সব কথা বলবার ছিল তাদের অজস্র বলতে পেরেচি জীবনের বসন্তকালে প্রথম উপলব্ধির আনন্দে —প্রজাপতি যেমন ডানা নিয়ে গুটির মধ্যে থেকে বেরিয়ে অাসে চিত্তভাবও তেমনি আপন নানাবণ বিচিত্র ভাষা সঙ্গে নিয়েই প্রকাশ পেয়েছিল। আজ নূতন প্রসারিত সেই সহজচঞ্চল ভাষা নেই— নিজের পুরোনো লেখা— অন্তত ইংরেজি লেখা— সম্পূর্ণ অন্ত জন্মের বলে বোধ হয়, এখন আর সে আপন ইন্দ্রজাল নিয়ে ধরা দেয় না । অতএব আজ আমার হয়ে বলবার ভার তোমাদেরই পরে, তোমাদের কণ্ঠস্বরে বাধা নেই ব’লে তাই আনন্দ পাবে— আমার হাতে যা এতদিনে স্নান হয়ে গেছে তোমার হাতে আবার তা উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। ইতি ২৯ এপ্রেল ১৯৩৪ তোমাদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর У У о