পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চাল তুরস্ত করবার কৰ্ত্তব্য শেষ করেছি। তার আড়ষ্টভাব গেছে, সে নানাদিকে নানা ভঙ্গীতে হাত পা খেলাতে পারে । তাই এখন আমার কলাচর্চার সখটা ছুট্‌চে ছবির দিকে। এর মাঝখানে কৰ্ত্তব্যের গদি থেকে বক্তৃতার ফরমাস এলে ধৈৰ্য্য থাকে না। অথচ উপায় নেই। এখন মাদ্রাজে এসে এই লোকহিতকর পালা চলচে— টাগোরকে সাজতে হচ্চে কখনো শিক্ষাসংস্কারক, কখনো পল্লিসংস্কারক, কখনো বিশ্বসংস্কারক। এখন সব সাজ ফেলে দিয়ে চিত্রকুটের শিখরে চড়ে নির্জনবাসের জন্তে মন উৎসুক । তুমি তো পাড়ি দিলে সমুদ্রপারের দিকে— মনটা পিছনের টান এড়াতে পারছিল না— কেননা তখনো ওপারের ভোজে পাত পড়ে নি, তুদিকেই তখন ফাকা। আমি নিশ্চয় জানি সেখানে পৌছলেই মানুষের আহবান আসবে, সাড়া দেবে তোমার মন । এদেশে ভিড় আছে, এক খাচায় অনেকগুলি বন্দী পাখীর ভিড় । তাদের বাণী নেই, গান নেই, তার কিচিমিচি করে, খোঁচাখুচি করে। অত্যন্ত ক্লান্ত হয়ে থাকতে হয় কেননা সৰ্ব্বদা খাটো হয়ে আছি বলে। ভূমৈব সুখং —এখানে মানুষের ব্যবহারে ভূমার স্পর্শ নেই। তারস্বর উঠচে পলিটিক্সের হাটে। কিন্তু তার মধ্যে কী ক্ষুদ্রতা, কত মিথ্যা। মিথ্যার মিশোল সকল দেশের পলিটিক্সেই আছে। কিন্তু সে যেন তুধের সঙ্গে জলের মিশোল । আমাদের এখানে গোড়ার জিনিষটাই জল, অবাস্তবতা— তাতে হোয়াইট্যাবের দোকান থেকে কেন টিনের দুধের ছিটে । গোড়ায় মস্ত ফাকি > >や