পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আজকাল আমি সমস্ত ব্যাপারটাকে নিস্পৃহ বৈজ্ঞানিকভাবে দেখবার চেষ্টা করি ; মরবার কারণ যেখানে আছে সেখানে মরেই এর চেয়ে সহজ কথা কিছুই নেই। পার্লামেণ্টরি রাষ্ট্রতন্ত্র একি বিলিতি দাওয়াইখানা থেকে ভিক্ষে করে আনলেই তখনি আমাদের ধাতের সঙ্গে মিলে , যাবে! নিয়ুয়র্কের আকাশ-আঁচড়া বাড়ি আমাদের পলিমাটির উপর বসিয়ে দিলে সেটা তার অধিবাসীদের কবর হয়ে উঠবে। সাদা কাগজের মোড়কে আমাদের ভাগে কী দান কী পরিমাণে এসে পৌছল সেটা বেশি কথা নয়, যাকে দেওয়া হচ্চে তারি পাঁচ আঙুলের ফাক দিয়ে গলে গিয়ে কতটা টেকে সেইটেই ভাববার বিষয় । সত্যি কথা বলতে গেলে আমার আশ্চৰ্য্য বোধ হয় যে আমাদের এতখানি দিতে প্রস্তুত হয়েচে । সন্দেহ নেই যে এই দেওয়াটাই শেষ কথা নয়, এটা আমাদের ভবিষ্যতের বড়ো দাবীকে উত্তেজিত করে দেওয়া মাত্র—থলির মুখ খুলল, এর পরে শেষ পৰ্য্যস্ত থলি ঝেড়ে দিতে হবে,—ওর শিলমোহরটা এবার টুটুল। বিদেশী সাম্রাজ্যের এতট৷ দাক্ষিণ্য ইংরেজজাতের ছাড়া আর কোনো জাতের হাত দিয়ে হতে পারত না । হয়তো এই দানের সঙ্গে সঙ্গে সুবুদ্ধিও আছে । জগৎ জুড়ে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘূর্ণিবাতাস জেগে উঠচে তাতে ভারতবর্ষের মন না পেলে ভারতবর্ষকে শেষ পৰ্য্যন্ত আয়ত্ত করা সম্ভব হতে পারে না। যে মুসলমানকে আজ ওরা সকলরকমে প্রশ্রয় দিচ্চে সেই মুসলমানই একদিন মুষল ধরবে। যাই হোক, লুব্ধতা স্বভাবে প্রবল থাকলে Σ Σ &