পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ববুদ্ধির দূরদর্শিত কাজ করতে পারে না। আমার নিশ্চিত বিশ্বাস যুরোপের অন্য যে কোনো জাত এমন কি আমেরিকান কৰ্ত্তা হলে ভারতবর্ষের গলার ফঁাসে আরো লাগাত জোর— নিজেদের নিৰ্ম্মম বাহুবলের পরেই সম্পূর্ণ ভরসা রাখত – আমাদের তরফে একটা কথা বলবার আছে, ইংরেজের শাসনে যতই দাক্ষিণ্য থাক আজ পর্য্যস্ত না মিলল আমাদের উপযুক্ত শিক্ষা, না জুটল যথেষ্ট পরিমাণে পেটের ভাত, না ঘটল স্বাস্থ্যের ব্যবস্থা। শাসনতন্ত্রের কাঠামো রক্ষা করতেই পুজি শেষ হয়ে আসে, প্রজাদের মানুষ করে তুলতে হাতে কিছুই থাকে না । এই ঔদাসীন্য আমাদের শতাব্দী ধরে হাড়ে মজ্জায় জীর্ণ করে দিল । আমাদের পাহারা আছে আহার নেই এমন অবস্থা আর কতদিন চলবে। অথচ ওদের নিজের দেশে প্রজার অন্নাভাব সম্বন্ধে ওদের কত চিন্তা কত চেষ্টা । কেননা ওরা ভালো করেই জানে আধপেটা অবস্থায় কোনো জাতের মনুষ্যত্ব রক্ষণ হয় না। আমাদের বেলায় সেই মনুষ্যত্বের মাপকাঠি ওরা ছোটো করে নিয়েছে তারি নিৰ্ম্মমতা আমাদের সুদূর ভাবীকালকে পর্য্যস্ত অভিভূত করে রেখেচে । তাই মনে হয় নিজেদের স্বভাবগত সমাজগত প্রথাগত সকলপ্রকার দুৰ্ব্বলতা সত্ত্বেও নিজের দেশের ভার যে করেই হোক নিজেকেই নিতে হবে। পরের উপর নির্ভর করে থাকলে দুৰ্ব্বলতা বেড়েই চলে, তা ছাড়া ইতিহাসের আবৰ্ত্তমান দশাচক্রে অনন্তকাল ইংরেজের শাসন অচলপ্রতিষ্ঠ থাকতেই পারে না। নিজের ভাগ্য নানা ভুলচুক নানা দুঃখকষ্ট বিপ্লবের У Хе