পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্য দিয়েই নিজে নিয়ন্ত্রিত করবার শিক্ষণ অামাদের পাওয়া চাই – সেই শিক্ষার আরম্ভপথ আমার অতি ক্ষুদ্র শক্তি অনুসারেই আমি নিয়েছিলুম। যুরোপের মতো আমাদের জনসমূহ নাগরিক নয়,— চিরদিনই চীনের মতোই ভারতবর্ষ পল্লীপ্রধান। নাগরিক চিত্তবৃত্তি নিয়ে ইংরেজ আমাদের সেই ঘনিষ্ঠ পল্লীজীবনের গ্রন্থি কেটে দিয়েছে। তাই আমাদের মৃত্যু আরম্ভ হয়েছে ঐ নীচের দিক দিয়ে। সেখানে কী অভাব কী দুঃখ কী অন্ধত কী শোচনীয় নিঃসহায়তা, বলে শেষ করা যায় না। এইখানেই পুনৰ্ব্বার প্রাণসঞ্চার করবার সামান্ত আয়োজন করেছি, না পেয়েছি দেশের লোকের কাছ থেকে উৎসাহ, না পেয়েছি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সহায়তা । তবু অঁাকড়ে ধরে আছি। দেশকে কোন দিক থেকে রক্ষা করতে হবে আমার তরফ থেকে এ প্রশ্নের উত্তর আমার এই গ্রামের কাজেY এতদিন পরে মহাত্মাজি হঠাৎ এই কাজে পা বাড়িয়েছেন। তিনি মহাকায় মানুষ, তার পদক্ষেপ খুব সুদীর্ঘ। তবু মনে হয় অনেক সুযোগ পেরিয়ে গেছেন— অনেক আগে সুরু করা উচিত ছিল, এ কথা আমি বারবার বলেচি। আজ তিনি কনগ্রেস ত্যাগ করেছেন। স্পষ্ট না বলুন এর অর্থ এই যে কনগ্রেস জাতিসংঘটনের মূলে হাত দিতে অক্ষম । যেখানে কাজের সমবায়তা স্বল্প সেখানে নানা মেজাজের মানুষ মিললে অনতিবিলম্বে মাথা ঠোকাঠুকি করে মরে । তার লক্ষণ নিদারুণ হয়ে উঠেছে। এই সম্মিলিত আত্মকলহের ক্ষেত্রে কোনো স্থায়ী কাজ কেউ > a>