পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२ ১১ ডিসেম্বর ১৯৩৪ \é কল্যাণীয়েযু ইতিমধ্যে কাশি ঘুরে এসেচি। হিন্দু-বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভোকেশন মালব্যজির অস্বাস্থ্যের জন্তে পিছিয়ে গেছে, কিন্তু সঞ্জীব রাওয়ের বিদ্যালয়ে আমার আমন্ত্রণ ছিল সেটা আর কাটাতে পারলুম না। আবার আমাকে যেতে হবে ৮ই ফেব্রুয়ারিতে। আজকাল বাইরের দিকে দৌড়ধাপ আমার একটুও ভালো লাগে না। উদার প্রান্তর এবং উন্মুক্ত আকাশের নীচে আপনার মধ্যে নিবিড়ভাবে নিবিষ্ট হয়ে বসে থাকতে ভারি ভালো লাগে । এখন কাজ না করাটাই আমার সবর্বপ্রধান কৰ্ত্তব্য এ কথাটা সবাইকে বুঝিয়ে উঠতে পারলুম না। অথচ বাইরের ছোটো বড়ো নানাবিধ দায় আমার চারদিকে প্রতিদিন জটিল জাল বিস্তার করচে— কিছুদিন থেকে জনতার ক্ষেত্রে আমাকে আগেকার চেয়ে বেশি করেই ঘুরপাক খাওয়াচে । এর প্রয়োজনীয়তা অতি যৎসামান্য । এদের সরকারী ধূমধামের একটা সজ্জারূপে এরা আমাকে ব্যবহার করতে চায়— অথচ এই ব্যবহার্য্য জিনিষটির প্রতি এদের আন্তরিক মমতা কিছুমাত্র নেই– খুচরো কাজে আমাকে জীর্ণ করে ফেলতে এরা অকুষ্ঠিত। আমি জানি অন্য দেশের সমাজে আমার মতো মানুষের প্রতি যেমন তেমন দাবী প্রয়োগ করতে সঙ্কোচ বোধ করে, এখানে সঙ্কোচ মাত্র নেই, > ミ@。