পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যে-ইংরেজি সাহিত্যকে আমরা পেয়েছি সে দরিদ্র নয়, তার সম্পত্তি স্বাজাতিক লোহার সিন্ধুকে দলিলবদ্ধ হয়ে নেই। একদা ফরাসী বিপ্লবকে র্যারা ক্রমে ক্রমে আগিয়ে নিয়ে এসেছিলেন, তারা ছিলেন বৈশ্বমানবিক আদর্শের প্রতি বিশ্বাসপরায়ণ । ধৰ্ম্মই হোক রাজশক্তিই হোক যা কিছু ক্ষমতালুব্ধ, যা কিছু ছিল মানুষের মুক্তির অন্তরায় তারই বিরুদ্ধে ছিল র্তাদের অভিযান, সেই বিশ্বকল্যাণ ইচ্ছার আবহাওয়ায় জেগে উঠেছিল যে সাহিত্য সে মহৎ, সে মুক্তদ্বার সাহিত্য, সকল দেশ সকল কালের মানুষের জন্য সে এনেছিল আলো, এনেছিল আশা। ইতিমধ্যে বিজ্ঞানের সাহায্যে যুরোপের বিষয়বুদ্ধি বৈশ্বযুগের অবতারণা করলে। স্বজাতি ও পরজাতির মৰ্ম্মস্থল বিদীর্ণ করে ধনস্রোত নানা প্রণালী দিয়ে যুরোপের নবোদ্ভূত ধনিকমণ্ডলীর মধ্যে সঞ্চারিত হতে লাগল। বিষয়বুদ্ধি সৰ্ব্বত্র সৰ্ব্ববিভাগেই ভেদবুদ্ধি, তা ঈর্ষাপরায়ণ স্বার্থসাধনার বাহন যারা তাদেরই ঈর্ষা, তাদের ভেদনীতি অনেকদিন থেকেই য়ুরোপের অন্তরে অন্তরে গুম্রে উঠছিল, সেই বৈনাশিক শক্তি হঠাৎ সকল বাধা বিদীর্ণ করে আগ্নেয়ম্রাবে যুরোপকে ভাসিয়ে দিলে। এই যুদ্ধের মূলে ছিল সমাজধ্বংসকারী রিপু, উদার মনুষ্যত্বের প্রতি অবিশ্বাস। সেইজন্যে এই যুদ্ধের যে দান তা দানবের দান, তার বিষ কিছুতেই মরতে চায়না, তা শান্তি আনলেন । তারপর থেকে যুরোপের চিত্ত কঠোরভাবে সঙ্কুচিত হয়ে আসচে— প্রত্যেক দেশই আপন দরজার আগলের সংখ্যা S\}\O