পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.१९ ২৮ মার্চ ১৯৩৫ હૈં কল্যাণীয়েযু কিছুকাল হোলো তোমাকে একটা মস্ত চিঠি লিখেছি। সম্ভবত সেটা তোমার হাতে পৌছয় নি। এরকম চিঠিপত্রের অনিশ্চয়তা ঘটলে লিখতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু কাজের কথা থাকলে চুপ করে থাকা চলে না। সুবিধে এই রথীরা যুরোপে যাত্রা করে বেরিয়েছেন, তোমার সঙ্গে মোকাবিলায় কথাবার্তা হতে পারবে । 喙 আমার নতুন এডিশন সম্বন্ধে আমার প্রত্যক্ষ পরামর্শ যদি পেতে চাও সে ঘটবে না। আর যে আমি কখনো য়ুরোপে যাব সে সম্ভাবনা নেই। . চলাফেরার বয়স পেরিয়ে গেছি। তা ছাড়া নিজের খ্যাতিকে প্রতিষ্ঠিত করবার ইচ্ছা ক্রমশই কমে আসচে। এই কথাই কেবলি মনে হয় যে যদি সাহিত্যে কোনো স্থায়িত্বযোগ্য কীৰ্ত্তি করে থাকি তবে তার স্থায়ী হবার দামটাকেই বড়ো করে দাবী করা মূঢ়তা। কিছু করতে পেরেছি এইজন্যেই আমি আমার কাছে কৃতজ্ঞ । দামের জন্যে পরের কাছে হাত পাতলেই বাজারে তার হিসাব নিয়ে দাঙ্গাহাঙ্গামা বেধে যায়। দামটা শেষপর্য্যন্ত পাবেই বা কে ? আমার ব্রহ্মদত্যি ? অর্থাৎ যার না আছে ক্ষুধা, না আছে রসন, না আছে পাকযন্ত্র, খেয়ে নিতেও যে পারে না, বেঁধে নিতেও যে জানে না। আমি জানি কালের পরিবর্তন হবে, X & 4