পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রুচির গতিও বাক ফেরাতে ফেরাতে চলবে। সেই পরিবর্তনের থানায় থানায় নতুন নতুন কবি আড্ডা করবে, যুগে যুগে নব নব পরিতৃপ্তির রসদ জোগাবে তারাই। জানি এমন সব কবি আছেন গুণী আছেন র্যারা সকল কালের ভাণ্ডার ভরে দিয়ে গেছেন– সেটা আপনিই ঘটেচে—না ঘটলেও তার লোকসান র্তাদের কাছে পোছত না । মৃত্যুর যতই কাছে আসচি ততই ভাবীকালের কাছে হাত বাড়াবার আগ্রহ চলে যাচ্চে। ভাবীকাল আপনার পাওনার হিসাব আপনিই করে ; যা রক্ষণীয় তাকে বর্জন করেছে নিশ্চয়ই এমন হয়েছে ভূরি ভূরি। তা নিয়ে জগতের কোথাও কি কোনো শোক আছে ? ঐ যে মহেঞ্জদারো ধ্বংসাবশেষ অতীত মানবমহিমার সাক্ষ্য নিৰ্ম্মমভাবে মরুবালুর তলায় চাপা দিয়ে রেখেছিল। তাদের কবিরা সে যুগের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে কি বাণীরূপ দেয় নি? আর কোনোদিন তার গুঞ্জনমাত্রও শোনা যাবে না। কার বুকে বেজেছে সেই ক্ষতি ? কত শতাব্দী গেল তার উপর দিয়ে— চাষীরা চাষ করচে, মাঝিরা নৌকো বাইচে, রাজার রাজত্ব ভাঙচে গড়চে, সমস্তই চলেছে মহাবিস্মৃতির অভিমুখে । পৃথিবীতে দিনের পর দিন সূৰ্য্য উঠবে সূৰ্য্য অস্ত যাবে, অসংখ্য যারা জাগবে আর যারা সন্ধ্যার প্রদীপ জ্বালাবে তাদের মধ্যে এই একটিমাত্র আমি কোথাও থাকবে না। সেই অন্তহীন জীবনপ্রবাহের মধ্যে আমার আজকের দিনের কয়েকটা কথা হয়তো কিছুকালের জন্তে ফেনার মতো ভেসে চলবে। সেদিনকার সেই বেদনাশূন্ত চলার অনিশ্চিত কল্পনা নিয়ে কেন আমি ভেবে মরব, সম > (t )