পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وا وه ১২ এপ্রিল ১৯৩৫ \ર્વે কল্যাণীয়েযু মেল পাবার তুই একদিন পরে তোমার তর্জমা এসে পৌছল। পড়বার সময় পাই নি— অনেকগুলি ছোটবড়ে কাজে জড়িয়ে আছি তার মধ্যে অন্যতম হচ্চে একটা নতুন কবিতার বই ছাপানো। এই জাতের কাজে হাত দিলেই নিজের জাতটা নিজের কাছে ধরা পড়ে। আমি কবি, এইটেই হোলো আমার প্রথম এবং শেষ কথা— আর যে সব আমার কাধে ভর করেছে সেগুলো বাহ । বটগাছে বাদর লাফায়, পাখী বাসা বাধে, কিন্তু বটগাছটা তাদের বাদ ब्रुिङ्गे | আমি গল্প লিখে থাকি- তার সদ্য প্রমাণ চার অধ্যায়T_কিন্তু যখন কবিতা নিয়ে পড়ি তখন মনে হয় ওগুলো পরগাছা, শিকড় নেই অন্তরে। সন্দেহ হয় ওদের ধ্রুবত্ব সম্বন্ধে। ওদের হাকডাক বেশি, কিন্তু সাচ্চাই ? চার অধ্যায়ের যে দিকটা আমাদের পাঠককে ভোলায় সে ওর কবিতা অংশ। ওর ভাষায় লাগিয়েছি জাদু, সেইটের ভিতর দিয়ে তারা যে জিনিষটা পায় সেটা ঠিক খাটি গদ্যের বাহন নয়। অন্তু আর এলার ভালোবাসার বৃত্তান্তটা লিরিকের তোড়া রচনা— নবেলের নির্জলা আবহাওয়ায় শুকিয়ে যেতে হয় তো দেরি হবে। যোগাযোগটা ওর চেয়ে গদ্যের এলাকায় টেকসই হবার কথা —যদিও তার মধ্যে কবির কলম শিল্পকাজ চালায় নি তা S @ 8